রাজনীতি ডেস্ক
রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ছয় নেতাকর্মীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জাতীয় ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঘটনা ঘটে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মিরপুর-২ পানির ট্যাংকি এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এনসিপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় নেতা হোসনেয়ারা সাদিকের বাসায় গেলে হঠাৎ তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। আহতদের সঙ্গে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দ্রুত উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। হামলার সময় পুলিশের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও ঘটনা ঘটে।
আহত নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, স্থানীয় বিএনপি নেতা হারুন ও কামালের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। তাদের সঙ্গে কয়েকজন সাবেক আওয়ামী লীগ কর্মীরও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা বলা হচ্ছে। আহতদের মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জাতীয় ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
হামলার ঘটনায় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব রাতেই আহত নেতাকর্মীদের দেখতে হাসপাতালে যান। তিনি এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় বিএনপি নেতা হারুন ও পিচ্চি কামালের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তোলেন এবং তাদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও হামলাকারীরা তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালায়। আহতদের পরিচয় এবং তাদের অবস্থার বিস্তারিত তথ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়নি। তবে আহতদের মধ্যে একজনের গুরুতর অবস্থার কারণে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর রয়েছে। মিরপুর এলাকায় এই ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা এলাকায় নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক সহাবস্থানের ক্ষেত্রে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ভবিষ্যতে ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের শনাক্তকরণের ওপর স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের নজর থাকবে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীতে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর সংঘটিত সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে, যা স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার দক্ষতা ও রাজনৈতিক সহমতের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত এখনও চলছে।