আইন আদালত ডেস্ক
রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকার ধানমন্ডি থানায় ছায়ানটের প্রধান ব্যবস্থাপক দুলাল ঘোষ মামলাটি দায়ের করেন।
ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, মামলায় ৩০০ থেকে ৩৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়নি।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এটি ঘটেছে গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর উত্তেজনা ও ক্ষোভের প্রেক্ষিতে। ছয় তলার এই ভবনের প্রতিটি তলায় হামলা চালানো হয় এবং নিচতলায় অগ্নিসংযোগ করা হয়।
হামলার সময় ভবনের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষের সিসি ক্যামেরা, কম্পিউটার, আসবাবপত্র এবং বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া বেশ কিছু ল্যাপটপ এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জামও লুটপাট করা হয়।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হামলার পরে ছায়ানট ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৎপরভাবে পুনর্গঠন করা হয়েছে এবং ভবন সংলগ্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে সিসি ফুটেজ সংগ্রহ ও অন্যান্য প্রমাণাদি যাচাই চলছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের হামলার ঘটনা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা তুলে ধরে। এছাড়া, এই ধরনের ঘটনার ফলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, ছায়ানট ভবন ঢাকার এক গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানে নিয়মিত সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক ও সঙ্গীত বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। হামলার পর ভবনের পরিচালনা কমিটি ভবন পুনঃস্থাপন ও ক্ষতিগ্রস্ত সরঞ্জাম পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
পুলিশ ও প্রশাসন ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও আইনি ব্যবস্থার জন্য তদন্তকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিচালনা করছে।