বিনোদন ডেস্ক
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকাই চলচ্চিত্র অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। জনপ্রিয় অভিনেতা ও খল চরিত্রে সুপরিচিত আহমেদ শরীফ এই নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আহমেদ শরীফ জানান, বর্তমানে তিনি কিছু ব্যক্তিগত ও পেশাগত কাজের কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসেছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই আবার সেখানে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়ে ভোটের আগেই দেশে ফেরার প্রস্তুতি রাখছেন তিনি। তার ভাষ্য অনুযায়ী, সংগঠনের ভবিষ্যৎ ও শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষার প্রশ্নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতেই এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি তিনি বিবেচনা করছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশাজীবী সংগঠন। এখানে নেতৃত্ব দেওয়ার অর্থ শুধু একটি পদে থাকা নয়, বরং শিল্পীদের অধিকার, পেশাগত নিরাপত্তা এবং চলচ্চিত্র শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করা। এ কারণেই যারা আন্তরিকভাবে সংগঠনের জন্য কাজ করতে আগ্রহী, তাদের নিয়ে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর প্যানেল গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান আহমেদ শরীফ। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে সহকর্মী শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বিভিন্নজনের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণের পর কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি তার সিদ্ধান্ত জানাতে পারবেন বলে আশা করছেন। শিল্পীদের ঐক্য এবং সংগঠনের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সঙ্গে আহমেদ শরীফের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়েই তিনি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনবার সাধারণ সম্পাদক এবং চারবার সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন তিনি। শিল্পী সমিতির প্রশাসনিক কার্যক্রম, নির্বাচন পদ্ধতি এবং শিল্পীদের নানা সমস্যা মোকাবিলায় তার এই দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সংগঠনের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য।
চলচ্চিত্র অঙ্গনের সংশ্লিষ্টদের মতে, একজন অভিজ্ঞ ও প্রবীণ শিল্পীর এমন আগ্রহ প্রকাশ নির্বাচনী পরিবেশে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। শিল্পী সমিতির নির্বাচন সাধারণত তারকাবহুল ও আলোচনামুখর হয়ে ওঠে। সিনিয়র শিল্পীদের অংশগ্রহণ ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ায় এবং সংগঠনের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে নানা প্রত্যাশার জন্ম দেয়।
এদিকে শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী ও প্যানেল নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়েছে। সংগঠনের সদস্যরা আশা করছেন, এবারের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচিত নেতৃত্ব চলচ্চিত্র শিল্পের বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি দেশের চলচ্চিত্র শিল্পীদের একটি প্রধান প্রতিনিধিত্বমূলক সংগঠন। শিল্পীদের কল্যাণ, পেশাগত স্বার্থ সংরক্ষণ এবং শিল্প সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে এই সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এমন প্রেক্ষাপটে অভিজ্ঞ নেতৃত্বের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তন সংগঠনের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে।