জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ২টায় সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে রুমিন ফারহানার পক্ষে সরাইল উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হোসেন ফরমটি গ্রহণ করেন।
মনোনয়ন ফরম গ্রহণকালে সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের বর্তমান এবং সাবেক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলী হোসেন জানান, “আমিসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে মনোনয়ন ফরম নেয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ ফরম গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা নিজে নেবেন।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা এবং বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ও চান্দুরা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই আসন থেকে রুমিন ফারহানা ছাড়াও অর্ধডজনের বেশি সম্ভাব্য প্রার্থী বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তবে বিএনপি এই আসনটি তাদের জোটশরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আসনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ- এর সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিএনপির জোটের প্রার্থী ঘোষণার বিষয়ে রুমিন ফারহানা সাংবাদিকদের বলেন, “এতো বড় দল তাদের নিজস্ব ভালো-মন্দ বোঝে। যেহেতু জমিয়তে উলামায়ের সঙ্গে তারা জোট করেছে, আসন না দিলে কেমন করে জোট হবে। দল বাধ্য হয়ে আসন দিয়েছে।” স্বতন্ত্রভাবে ভোটে অংশগ্রহণ করলে দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করেন, “যদি ব্যবস্থা নিতে হয়, তারা নিশ্চয়ই নেবেন। আমি আসলে বাধা দিতে পারব না।”
এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে পারে, যেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অংশগ্রহণ নির্বাচনকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলবে। বিএনপি এবং তার জোটশরিক দলগুলোর অবস্থান এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের সমর্থন এ আসনে ভোটের ফলাফলের দিকে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।