জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ব্যাপক প্রস্তুতি ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, দেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে তারেক রহমানের আগমনের অপেক্ষায় ছিলেন এবং তার আগমন সব গুঞ্জন ও ষড়যন্ত্রের সমাপ্তি হিসেবে ধরা হচ্ছে। তিনি বলেন, “যে লড়াইটা তিনি বিদেশে বসে জনগণের জন্য করেছেন, বিশেষত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে—এবার সেই লড়াই তিনি প্রত্যক্ষভাবে দেশের মাটিতে বসে জনগণকে নেতৃত্ব দেবেন।”
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও জানান, সংবর্ধনা কেবল বিএনপির পক্ষ থেকে নয়, দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, “তিনি এখন জনগণের নেতা এবং মানুষের ভবিষ্যৎ কর্ণধার।”
জাতীয় স্মৃতিসৌধে তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকেই হাজার হাজার নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধের ইনচার্জ, গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার খান আনু নিশ্চিত করেছেন যে, আগমন উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশের প্রধান বিরোধী দলের প্রধান নেতার প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও নির্বাচনী পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত আগামী নির্বাচনী সময়সূচি এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে কেন্দ্র করে এ ধরনের উচ্চ পর্যায়ের উপস্থিতি দলের কর্মসূচি এবং জনমত গঠনে প্রভাবশালী হতে পারে।
তাদের মতে, দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে এরূপ সংবর্ধনা সাধারণত দলের সমর্থক এবং জনগণের মধ্যে উদ্দীপনা তৈরি করে। পাশাপাশি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয় যাতে অনুষ্ঠানের সময় কোনও ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়ানো যায়।
সংক্ষেপে, তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যা আগামী দিনে দলীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।