জেলা প্রতিনিধি
খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠন, জাতীয় শ্রমিক শক্তির খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মো. মোতালেব শিকদারকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শামীম সরদার ওরফে ডিকে শামীমসহ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৬)। গত শুক্রবার রাতে নগরীর বসুপাড়া এলাকা থেকে শামীম ও তার সহযোগী মাহাদিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১০টি মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাবের দাবি, শামীম সরদার, যিনি খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী, মোতালেব শিকদারকে গুলি করে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। ২২ ডিসেম্বর সকালে শামীমসহ কয়েকজন তন্বী নামের এক ব্যক্তির বাসায় যান। সেখানে আগে থেকেই মোতালেব শিকদার, তন্বী, আরিফ, ইফতি, তন্বীর স্বামী তানভীর, ইমরান এবং ইফতির চাচাতো ভাই উপস্থিত ছিলেন। ওই বাসায় নিয়মিত মাদক (ইয়াবা) সরবরাহ করা হতো। শামীমের চাহিদা মতো মাদক সরবরাহ করা না হওয়ায় তিনি মোতালেব শিকদারকে নিজের হাতে গুলি করেন। ঘটনার পর তারা দ্রুত বাসা থেকে পালিয়ে যান।
র্যাব কর্মকর্তা মেজর মো. নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন, শামীম সরদার ও তার সহযোগী মাহাদিনকে গ্রেপ্তার করার পর তাদের কাছ থেকে একাধিক তথ্য পাওয়া গেছে। শামীমের বিরুদ্ধে দস্যুতা, বিশেষ ক্ষমতা আইন, মাদক ব্যবসাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এই ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর মোতালেব শিকদারের স্ত্রী রহিমা আক্তার ফাহিমা সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় তন্বীসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।
মেজর নাজমুল ইসলাম আরও জানান, শামীম ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে খুলনায় মাদক ব্যবসা ও টাকার ভাগাভাগির সঙ্গে জড়িত ছিল। তাদের গ্রেপ্তার করার পর র্যাব অন্যান্য অভিযুক্তদের খুঁজে বের করার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্থানীয় সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।