জাতীয় ডেস্ক
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
তার মৃত্যুর খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের প্রেস সচিব শফিকুল আলম শোক প্রকাশ করেছেন। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে সব নেত্রীর মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাবান, দেশের প্রতিরোধের প্রতীক এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে অভিহিত করেছেন।
প্রেস সচিব আরও বলেন, “জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ছিলেন এক অকুতোভয় যোদ্ধা, আমাদের সবচেয়ে কঠিন সময়ে আশার এক উজ্জ্বল বাতিঘর। আজীবনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশের প্রকৃত আত্মাকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। তিনি ছিলেন আমার নায়িকা। শান্তিতে ঘুমান, বেগম খালেদা জিয়া। আল্লাহ আপনাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ ও সবচেয়ে সুন্দর স্থান দান করুন।”
বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিশেষ স্থান রেখে গেছেন। তিনি দেশের জন্য তার রাজনৈতিক ও সামাজিক অবদানের মাধ্যমে দীর্ঘ সময়ের প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন। তার মৃত্যু দেশীয় রাজনীতিতে এক শূন্যতা সৃষ্টি করেছে এবং রাজনৈতিক দলের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তার জীবন ও নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীর শক্তি ও স্থিতিশীলতার এক উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হন। বিএনপি এবং দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক মহলের মধ্যে শোক প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।