বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে আল আরাফাত সার্ভিসেস (প্রাঃ) লিমিটেডের এমডি মোঃ বেলায়েত হোসেনের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার নামে যে দুটি গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে তার কোনটাই সত্য নয়। বিশেষ করে দেড়কোটি টাকার বিনিময়ে টেলিটকের আউটসোর্সিং এর কাজ পাওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা একেবারেই হাস্যকর, মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি একটু বিষয়টি পরিষ্কার করি । টেলিটকের দু’বছর মেয়াদী আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল সরবরাহের যে কাজটি পেয়েছি তাতে বছরে নীট মুনাফা হবে ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা, দুই বছরে সর্বোচ্চ ৭০ লক্ষ টাকার মত। তাহলে আমি যদি দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে কাজ পাই, সেক্ষেত্রে এতটাকা লস করে কেউ কি কাজ নেয়? মানুষ লাভের জন্য কাজ করে । এই অবাত্তর তথ্যহীন যুক্তি হাস্যকর সংবাদ পরিবেশন কতটা সমীচীন হয়েছে আপনারাই বিবেচনা করবেন । উল্লেখ্য আমার এই কাজ প্রাপ্তির বিপরীতে ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা টেলিটকের কাছে ব্যাংক গ্যারান্টি দেয়া আছে । আসলে প্রকাশিত খবরটি পক্ষপাতদুষ্ট ও মানহানিকর । আল আরাফাত কোম্পানী প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী টেলিটকের সকল শর্ত পূরণ সাপেক্ষে (পিপিআর অনুযায়ী) আমার কোম্পানীর অনুকূলে কার্যাদেশ হয়েছে। যেমন চারটি নিবন্ধিত কোম্পানি এই টেন্ডারে (দরপত্র) অংশগ্রহণ করেছে, (১) আল আরাফাত সার্ভিসেস (প্রাঃ) লিমিটেড (২) কৃষ্ণা সিকিউরিটি সার্ভিস লিঃ, (৩) সিকিউরিটাস সিকিরিটি এন্ড লজিষ্টিক সার্ভিসেস লিঃ (৪) হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এন্ড গার্ড সার্ভিসেসসহ দরপত্র দাখিলীয় ৩টি কোম্পানিগুলো কাজ পায়নি অথচ তারা কোন অভিযোগ করেনি এবং যাদের নামে অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে যমুনা ষ্টার সেফ গার্ড লিখিতভাবে জানিয়েছেন এ ধরণের এমন কোন তথ্য কাউকে দেননি এবং কারও সাথে যোগাযোগ করেননি। স্কলাসটিকা সিকিউরিটিজ কোম্পানী নামের কোন কোম্পানীর তথ্য পাওয়া যায়নি। তাহলে ঐ সাংবাদিক ভাই কোথায় পেলেন এই তথ্য? যার ভিত্তিতে এমন সংবাদ পরিবেশন করলেন। টেলিটকের এমডি’র বক্তব্য অনুযায়ী অভিযোগকারীরা কেউই টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেনি, তার মানে দরপত্রে তাদের অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা ছিলনা। কার্যাদেশ দেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য এমডির কোন একক ক্ষমতা নেই। নিযুক্ত একটি বোর্ড চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে কোম্পানীর কাগজপত্র সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই অন্তে সিদ্ধান্ত দেয় কাকে কার্যাদেশ দেয়া হবে বা কে কাজ পাবে। অর্থাৎ পুরো খবরটি স্ব-বিরেধীতায় ভরা। রিপোর্টার যেন নিজের বিরুদ্ধে নিজেই খবর দিয়েছেন মানুষকে। আরও বিস্ময়কর ব্যাপার একটি সরকারী গোয়েন্দা সংস্থা (এসবি) এর রিপোর্ট আমি নিজে বানিয়ে কাজ নেয়ার পাঁয়তারা করছি সংবাদে এরকম কথা লেখা আছে। আসলে এ ধরণের কথা চূড়ান্ত বিচারে রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল বলে আমরা মনে করি। আর কারও মুখে শুনে খবর পরিবেশন করা হলুদ সাংবাদিকতার নামান্তর। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে হলে সুনির্দিষ্ট তথ্য লাগবেই। বিদ্বেষ প্রসূত হয়ে কারও স্বার্থরক্ষার জন্য এমন খবর পরিবেশন করা কতটা যুক্তিযুক্ত হয়েছে আপনারাই তার বিচার করবেন। আপনাদের ওপরই এর ভার দিলাম। পরিবেশিত খবরে আল আরাফাত কোম্পানীর চেয়ারম্যান হিসাবে জনৈক আবু তালেবের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসলে এই নামে বর্তমানে কোন চেয়ারম্যান নেই। অত্র কোম্পানি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমি মোঃ বেলায়েত হোসেন একক ভাবে পরিচলানা করে আসিতেছি। আপনি কাউকে অপছন্দ করতে পারেন কিন্তু বিনা কারনে কাউকে দোষী সাব্যাস্ত করা কতটা সংগত তা আপনারাই বিবেচনা করবেন। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয়, পরিবেশিত সংবাদে যে তথ্য দেয়া হয়েছে তাতে সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হয় কথিত ঐসব অভিযোগের কোনটার সাথে আমি বা আমার কোম্পানীর ও টেলিটকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ সম্পৃক্ত নয় বা এমন অনিয়ম সংঘটিত হয়নি। একটা কথা বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মস্তিস্ক প্রসূত দুরদর্শী চিন্তার ফসল উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে ২০০৮ সাল থেকে আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের যে সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে প্রকান্তরে সেই উন্নয়ন কর্মকান্ডকেই বাধাগ্রস্থ করেছে এই ধরনের সংবাদ পরিবেশনা। অথচ আউট সোর্সিং এর খাত থেকে এই কোম্পানীগুলো রাষ্ট্রকে বিপুল পরিমান রাজস্ব দেয়। রাষ্ট্রের সকল শর্তপূরণ করে সৎভাবে ব্যবসা পরিচলনা করে আসছে । আসলে এই সেক্টরে কিছু অসাধু ব্যক্তি আছে যাদের স্বার্থের অনুকূলে না গেলে সাথে সাথেই বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে এই চক্রটি এবং সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য উল্লেখ করতে না পেরে রাজনৈতিক রূপদানের চেষ্টা করা হয়েছে । আমরা এ ধরণের মানহানিকর সংবাদ পরিবেশনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।