রাজনীতি ডেস্ক
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। এ যোগদানের মাধ্যমে নির্বাচনের আগে দলটির রাজনৈতিক শক্তি ও জোট সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া আরও জোরদার হয়েছে।
এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম তার দল বিলুপ্ত করে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপিতে যোগ দেন। যোগদানের পর তাকে লক্ষ্মীপুর–১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন দেয়া হয়। এছাড়াও, ১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া বিএনপিতে যুক্ত হন।
রেজা কিবরিয়া গুলশানে বিএনপির মহাসচিবের হাতে ফুল তুলে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের সদস্য হন। যোগদানের পর তিনি হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পান।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রসঙ্গে জানান, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রেজা কিবরিয়াকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির ৩১ দফার নীতি ও আদর্শের আলোকে রেজা কিবরিয়া দেশের উন্নয়ন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন।
রেজা কিবরিয়া যোগদানের পর স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় বিএনপির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ এবং দলটির বর্তমান নেতৃত্ব তরুণদের স্বপ্ন পূরণে সক্ষম। দেশের মানুষের দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কাজ করলে জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।
বিএনপিতে সম্প্রতি যুক্ত হওয়া এই নেতাদের যোগদানের মাধ্যমে দলের রাজনৈতিক শক্তি ও নির্বাচনী প্রস্তুতি আরও শক্তিশালী হচ্ছে। বিশেষ করে, ফ্যাসিবাদবিরোধী ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক হিসেবে সৈয়দ এহসানুল হুদার অন্তর্ভুক্তি দলের গণতান্ত্রিক জোট সম্প্রসারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
জাতীয় রাজনীতিতে বিএনপির এই সম্প্রসারণ প্রক্রিয়া নির্বাচনী সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা স্থানীয় ও জাতীয় স্তরে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এতে করে দলের প্রার্থী তালিকা ও ভোট সংগ্রহ প্রক্রিয়া আরও সুসংগঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া, বিএনপির বর্তমান নেতৃত্ব দলকে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করতে নীতি ও আদর্শের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। দলের নতুন সদস্যদের যোগদানের মাধ্যমে দলীয় শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি নির্বাচনী কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা আরও কার্যকর করা সম্ভব হবে।
সার্বিকভাবে, নির্বাচনের আগে বিএনপিতে নতুন সদস্যদের যোগদান দলটির রাজনৈতিক প্রভাব ও সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।