উন্নয়ন অভিযাত্রায় মৎস্যখাত : টেকসই, স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও এসডিজি প্রেক্ষিত শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা সারাদেশের পরিবেশদূষণ ও পানিদূষণ থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বের করা, ভরাট নদী ও হাওড়-বাওড়ের খননকার্য এবং মৎস্যখাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, ২০২১ সালে এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে মৎস্যখাতের স্বয়ম্ভরতার্জনকে অবশ্যই টেকসই করতে হবে। মাছের স্বয়ম্ভরতাকে ধরে রেখে ভ্যালুএডেড মৎস্যপণ্য উৎপাদনের দিকে লক্ষ্য দিতে হবে। কাঁচা ও রান্নাকৃত মাছের বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে পারলে যেমন ব্যস্ত ভোক্তাদের লাভ হবে তেমনই উৎপাদনকারীরাও ন্যায্যমূল্য পাবে।
আজ ঢাকায় ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনীতে বক্তারা এসব কথা বলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রইছউল আলম মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান এবং অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ গোলজার হোসেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের প্রফেসর ড. নির্মল চন্দ্র রায়, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ। এছাড়াও মৎস্যখাতে বাংলাদেশের অর্জন এবং মৎস্য অধিদপ্তরের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ওপর মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দফতরের উপপরিচালক ছালেহ আহমদ।
কর্মশালায় মৎস্য অধিদপ্তরের আওতায় সারাদেশ থেকে সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালার উদ্দেশ্য হচ্ছে সারাদেশের করমকর্তাদের অংশগ্রহণে মৎস্যখাতের চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যা-সম্ভাবনা চিহ্নিত করা।
মৎস্যমন্ত্রী মৎস্যচাষের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের বিবরণ দিয়ে কর্মকর্তা ও বৈজ্ঞানিকদের এলাকা ও পরিবেশভিত্তিক মাছচাষের প্রযুক্তির আবিস্কারসহ মাছের রোগ প্রতিরোধের ব্যাপারেও অবদান রাখার আহ্বান জানান। তিনি পানিদূষণ এবং নদীখননের প্রয়োজনের ওপর জোর দিয়ে বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয়ভিত্তিক সভার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ, নিরাপদ খাদ্য এবং মাছের অভয়াশ্রম নিশ্চিত করতে সকলকে সচেষ্ট হতে হবে।