সড়ক দুর্ঘটনায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার ১০ দিন পর গতকাল বুধবার ওই স্কুলের সামনের সড়কে জেব্রা ক্রসিং ও হাম্প (অনুচ্চ ও প্রশস্ত গতিরোধক) বসিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
ডিএনসিসির কর্মকর্তারা বলছেন, নিরাপদে সড়ক পারাপারের জন্য জেব্রা ক্রসিং ও গতিরোধক দেওয়া হবে। ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকায় মূল সড়কের পাশে যেখানে যতগুলো গতিরোধক প্রয়োজন, তা বসানো হবে। মূল সড়কের পাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে জেব্রা ক্রসিং ও হাম্প বসানো হবে। ডিএনসিসির প্রকৌশল বিভাগ ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে আলাপ করে জেব্রা ক্রসিং ও গতিরোধক বসাবে।
গতকালের কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র মোস্তফা জামাল, আলেয়া সারোয়ার ডেইজী, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম, শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নূর নাহার ইয়াসমিনসহ এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম বলেন, এক বছরের মধ্যে যতগুলো নতুন সড়ক তৈরি করা হয়েছে, সেগুলোয় জেব্রা ক্রসিং ও গতিরোধক ঠিক আছে। তবে পুরোনো অনেক সড়কে জেব্রা ক্রসিংয়ে মার্কিংগুলো (সাদা দাগ) হালকা হয়ে গেছে। সেগুলোও ঠিক করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, নিরাপদে যাত্রী পারাপার এবং সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ করতে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ডিএনসিসি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সব স্থানে জেব্রা ক্রসিং ও গতিরোধক হাম্পগুলো স্থাপন করা হবে।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, যানজট এড়াতে ডিএনসিসির জেব্রা ক্রসিং ও গতিরোধক হাম্পগুলো রাতের বেলায় তৈরি করা হবে।
ক্যান্টনমেন্ট থানার খিলক্ষেত এলাকায় হোটেল র্যাডিসন ব্লুর সামনের সড়কে গত ২৯ জুলাই বাসের জন্য অপেক্ষারত দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেয় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস। নিহত দুই শিক্ষার্থী শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত। এ ঘটনায় রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।
আরও সংবাদ
বিষয়: