রাজধানীর তুরাগের কামারপাড়ায় ভাঙারির দোকানে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আটজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই তিনজনই রিকশাচালক। তাঁরা বিস্ফোরণের সময় ভাঙারির দোকানের পাশের রিকশা গ্যারেজে ছিলেন।
গতকাল শনিবার রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁরা মারা যান। তাঁরা হলেন নূর হোসেন (৬০), গাজী মাজহারুল ইসলাম (৪৫) ও আলমগীর হোসেন আলম (২৩)।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এস এম আইউব হোসেন বলেন, নূর হোসেনের শরীরের ৯৫, গাজী মাজহারুলের ৩২ ও আলমের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, আরও পাঁচজন চিকিৎসাধীন। তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
পুলিশ বলছে, গাজী মাজহারুলে বাড়ি তুরাগের কামারপাড়া এলাকায়। তিনি ভাঙারি দোকানের ব্যবসা করতেন। রিকশার গ্যারেজটিও তাঁর ছিল। নূর হোসেনের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়। তিনি পেশায় রিকশাচালক ছিলেন। বামনারটেক এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি।
আলমের বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার দিলবালিয়া গ্রামে। তিনি কামারপাড়ায় রিকশার গ্যারেজের কাজ করতেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া তাঁদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।