অবশেষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের সম্মেলনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের সম্মেলনকে ঘিরে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। কে হচ্ছেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, এটিকে ঘিরে এখন নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সম্মেলনের দিন চূড়ান্ত হওয়ার সাথে সাথেই যারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে ইচ্ছুক তাদের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে হবেন, এটা চূড়ান্ত করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে অনেক প্রার্থীর নাম জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহ সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ সুমনের নাম আলোচিত হচ্ছে। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হবেন বলে শোনা যাচ্ছে। পল্লবী থানা ছাত্রলীগের প্রিয় মুখ মোঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদ সুমন পারিবারিক ভাবে তিনি আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান। স্কুল জীবন থেকে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এবার ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরা হলেন- পরিচ্ছন্ন ইমেজ নিয়ে সভাপতি পদে এগিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ সুমন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালমান খান প্রান্ত, রুপনগর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিঠু, কাফরুল থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান, ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের ২নং যুগ্ম সম্পাদক রকি, মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেলসহ দুই ডজন পদপ্রত্যাশী।
শাহাবুদ্দিন আহমেদ সুমন বলেন- ছাত্রলীগ হচ্ছে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন। এর সংগঠনের কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে এবং মনে প্রাণে লালন করে। ছাত্রলীগ হচ্ছে আমার প্রাণের সংগঠনের । এবারের সম্মেলন হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে জনসমুদ্রে পরিণত করা হবে। ছোটবেলায়ই বাপ-চাচাদের হাত ধরে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে পথচলা শুরু করি।
যতদিন বেঁচে আছি, দলকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাব, অপশক্তিকে রুখে আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করাই আমার লক্ষ্য। ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করায় সব সময় প্রতিহিংসার স্বীকার হয়েছি বহুবার।
‘ছাত্রলীগের সাধারণ নেতাকর্মীদের চাওয়া, সংগঠনের দুর্দিনে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যারা শক্ত হাতে হাল ধরে নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা রাখেন, মাঠের রাজনীতিতে ত্যাগ স্বীকার করে সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়েছেন, সর্বোপরি নিজের পরিচ্ছন্ন ইমেজ ধরে রেখেছেন তারাই পরীক্ষিত সৈনিক হিসাবে নেতৃত্বে আসুক।’