বিশেষ প্রতিনিধি
২০২২-২৩ সেশনের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে বলা হয় ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে অনলাইন আবেদন শুরু হয়ে চলবে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গত বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) মুজতাহিদ মুহাম্মদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেডিকেলে ভর্তির জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা ২০২৩ অনুযায়ী অনলাইনে নির্ধারিত সময়ে আবেদন করা যাবে। আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ২০২২-২৩ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে ২০২২ সালে এইচএসসি ও ২০২০ সালে এসএসসি অথবা ২০২১ সালে এইচএসসি ও ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তবে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের পূর্ববর্তী দুই বছরের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
এর আগে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর এবং বিএমডিসি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি আবেদন শুরু হওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ এবং এইচএসসি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নসহ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদনের যোগ্য হবে। দুটি পরীক্ষা মিলিয়ে কমপক্ষে জিপিএ ৯.০০ হতে হবে। উপজাতীয় ও পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে দুটি পরীক্ষায় জিপিএ ৮.০০ হলেই আবেদন যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০-এর কম হলে আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।
এ ক্ষেত্রে সবার জন্য এইচএসসি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৪.০০ না থাকলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে। লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।
অনলাইন আবেদনের ফি জমা দেওয়া যাবে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। প্রবেশপত্র বিতরণ শুরু হবে ৬ মার্চ থেকে, চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত। আগামী ১০ মার্চ সকাল ১০টায় ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে বেলা ১১টায়।
এমবিবিএস ভর্তির জন্য অনলাইন ফরম পূরণের নিয়মাবলি ও ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ওয়েবসাইটও ক্লিক করে জানা যাবে।
দেশে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৪ হাজার ৩৫০টি এবং বেসরকারি ৭২টি মেডিকেল কলেজে এ সংখ্যা ৬ হাজার ৪৮৯। ২০২২ সালে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা হয়েছিল ১ এপ্রিল। পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৪৩ হাজার শিক্ষার্থী। প্রতি আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ১৩ জনের বেশি।