হাতিরঝিলকে ঢাকার আইকন হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে একটি উন্নতমানের কনভেনশন সেন্টার স্থাপন করা হবে। অত্যাধুনিক অপেরা হাউসও নির্মাণ করা হচ্ছে। উন্মুক্ত মঞ্চটির নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি শীঘ্রই খুলে দেওয়া হবে। ঢাকাকে বিশেষভাবে পরিচিত করতে হাতিরঝিলে লন্ডন আই বা সিঙ্গাপুরের মতো একটি স্থাপনা নির্মাণ করা হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আজ হাতিরিঝিল পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। হাতিরঝিল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদ, রাজউকের চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরীসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তাগণ এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকার নাগরিক জীবনে স্বস্তি প্রদানের জন্য একটি নান্দনিক ও আদর্শ বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে হাতিরঝিলকে গড়ে তোলা হচ্ছে। নগরবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে এখানে সার্কুলার বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। ওয়াটার ট্যাক্সি চালু করার ফলে খুব কম সময়ে কম খরচে জনসাধারণ ঝিলের পশ্চিম প্রান্ত থেকে বাড্ডা বা গুলশান চলাচল করতে পারছে। গুলশান লেকের খনন কাজ চলছে। এ লেককে সম্প্রসারণ করে বনানী ও বারিধারা পর্যন্ত বিস্তৃত করা হচ্ছে। তখন ওয়াটার ট্যাক্সির রুট বনানী-বারিধারা পর্যন্ত বিস্তৃত করা হবে।
তিনি বলেন, একটি পরিত্যক্ত দুর্গন্ধময় নোংরা জায়গা হাতিরঝিলকে দর্শনীয় স্থানে পরিণত করা হয়েছে। এ স্থান হয়েছে ঢাকাবাসীর প্রধান বিনোদন কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ছিল দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলার সাথে সাথে ঢাকার উন্মুক্ত জলাধার হিসেবে হাতিরঝিলকে গড়ে তোলা। সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকাবাসীর স্বস্তিদায়ক স্থান হয়েছে হাতিরঝিল। একটি পরিকল্পিত আবাসিক এলাকার জন্য লেক বা জলাধার রাখার বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে গুলশান বারিধারায় লেক নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু বিগত সরকারগুলো লেক ভরাটের মাধ্যমে প্লট তৈরি করে তা বরাদ্দ প্রদান করেছে। এখন সেই লেকেরই সংস্কার কাজ করতে হচ্ছে।