৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে অনেকটা নীরব ছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে সরকারের পালাবদলে রাতারাতি পাল্টে যায় সংস্থাটির কার্যক্রম। গত মাস থেকেই একের পর এক প্রভাবশালী ব্যক্তি যারা দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে গত ১৬ বছরে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এরই মধ্যে তিন শ’ জনের তালিকা ধরে এগুতে শুরু করেছে মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন আবদুল্লাহ কমিশন। দুই সপ্তাহের বেশি সময়ে ৭০ জনের বেশি সংখ্যক আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী ও পুলিশের কর্মকর্তাসহ সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ, ব্যাংক ও শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি, অর্থ পাচার, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, কমিশন বাণিজ্য, সরকারি ও বেসরকারি জমি-সম্পত্তি দখল, লুটপাটসহ নানা অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।
সূত্রে জানা যায়, অনুসন্ধান শুরুর আগেই সংস্থাটির পক্ষ থেকে ১২টির বেশি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। সংস্থাটির গোয়েন্দা ইউনিটের তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায় থেকে অভিযোগ গ্রহণ করে ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো যাচাই বাছাই করে তাৎক্ষণিকভাবে কমিশন থেকে অনুসন্ধানের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানান, কমিশনের বর্তমান তৎপরতার ধারাবাহিকতায় গত দুই সপ্তাহের বেশি সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী অর্ধশত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। এরই মধ্যে ২৬ জন সাবেক এমপি-মন্ত্রী ও প্রভাবশালী ব্যক্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। টানা তিন মেয়াদে বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ব্যাংক, বীমা, শেয়ারবাজার, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, তৎকালীন সরকারের মেগা প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট, দুর্নীতি ও পাচারের ঘটনা ঘটে। যদিও এসব অভিযোগ বিভিন্ন সময় দুদকের কাছে এলেও সংস্থাটির চেয়ারম্যান/কমিশনাররা তাদের ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেননি।বিস্তারিত