মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওয়ারিশদের তথ্য আগামী দুই মাসের মধ্যে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) সফটওয়্যারে সংরক্ষণের জন্য নির্দেশ দিয়েছে।
সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব আখিনুর জাহান নীলা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, সব বীর মুক্তিযোদ্ধার (জীবিত বা মৃত) পারিবারিক/ওয়ারিশদের (পিতা, মাতা, সন্তান, স্ত্রী) তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সংরক্ষণ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের অধিকতর সুবিধা প্রদান করা।
অফিস আদেশে আরও বলা হয়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য প্রদর্শিত প্রত্যেক বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রোফাইলের শেষ আইকন হিসেবে ওয়ারিশদের তথ্য থাকবে। জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে পারিবারিক সনদ এবং মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ওয়ারিশ সনদ আপলোড করতে হবে। এ ছাড়া, জীবিত ও মৃত ওয়ারিশদের তথ্য আলাদা ভাবে এন্ট্রি করা যাবে। জীবিত ওয়ারিশদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করার পর তাদের তথ্য ভেরিফাই করে যুক্ত করতে হবে।
মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওয়ারিশদের তথ্য যুক্ত করার জন্য তাদের মৃত্যু সনদ এবং মৃত্যুর তারিখ আপলোড করতে হবে। তবে, মৃত ওয়ারিশদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই। এ ক্ষেত্রে একাধিক ওয়ারিশের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ থাকবে। যদি কোনো ভাতাপ্রাপ্ত ওয়ারিশ মৃত্যুবরণ করেন, তবে তার তথ্য মৃত ওয়ারিশদের তালিকায় যুক্ত করতে হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা বিতরণ কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে সোনালী ব্যাংক, পিএলসি এর ব্যবস্থাপক এমআইএস সফটওয়্যারে তথ্য এন্ট্রি করবেন। জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে স্থানীয় প্রশাসন এই তথ্যের অনুমোদন প্রদান করবেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এমআইএস সফটওয়্যারে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের (জীবিত/মৃত) ওয়ারিশদের তথ্য আগামী দুই মাসের মধ্যে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।
এই উদ্যোগটি মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে আরও সুরক্ষা এবং সুবিধা প্রদান করবে, সেইসাথে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও গৌরবকে সংরক্ষণ করবে।