রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গত শনিবার রাত থেকেই গ্যাসের তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তবে, এই ঘটনায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে এবং জানানো হয়েছে যে, এটি কোনও বড় ধরনের বিপদের ইঙ্গিত নয়।
রাজধানীর কুড়িল, বসুন্ধরা, মাটিকাটা গেট, উত্তরা, আশকোনা, ভাষানটেক, দক্ষিণখানসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া গেছে। গন্ধের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম উদ্বেগের মধ্যে আছেন, বিশেষ করে গ্যাস লিকেজের আশঙ্কা নিয়ে।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এ এইচ এম মাছউদুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় চলমান পাইপলাইন সংস্কারের কাজের ফলে এই গন্ধ ছড়াচ্ছে। সংস্কার কাজের সময় পাইপলাইনে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়, যা মাঝে মাঝে গ্যাসের গন্ধের মত মনে হয়। এছাড়াও, পাইপলাইনের লিকেজের কারণে এমন গন্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের গন্ধ সাধারণত বিপদজনক নয়, তবে জনসাধারণকে এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি কোন এলাকাতে এমন সমস্যা দেখা দেয়, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আমাদের হেল্পলাইনে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানালে আমাদের ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে।”
এছাড়া, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে একাধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও পরামর্শ দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গ্যাস লিকেজ বা রাসায়নিক গন্ধের কারণে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তবে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। তবে, সাধারণত পাইপলাইন সংস্কার বা লিকেজের কারণে গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়লেও তা বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করে না।
ঢাকায় গ্যাস সংযোগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দুর্ঘটনা রোধে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ নিয়মিতভাবে পাইপলাইন পরীক্ষা এবং সংস্কার কাজ চালিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থার নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখা হয়, তবে কখনো কখনো কাজের প্রভাবে এই ধরনের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, গ্যাসের গন্ধ বা লিকেজ নিয়ে কোনো ধরনের সমস্যা হলে, জনসাধারণ যেন আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত তিতাস গ্যাসের হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করেন। কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে তাদের ইমার্জেন্সি টিম প্রস্তুত রয়েছে।
রাজধানীতে গ্যাসের তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাটি ভয়াবহ কিছু নয়, বরং পাইপলাইন সংস্কার বা লিকেজের কারণে এমন গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।