1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

সাভারের আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, একাধিক বাসে অগ্নিসংযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৪০ বার দেখা হয়েছে

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে রোববার রাতে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে অগ্নিসংযোগ এবং বেশ কিছু ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

শিক্ষার্থীরা জানান, রোববার সন্ধ্যার পর সিটি ইউনিভার্সিটির কিছু শিক্ষার্থী আশুলিয়ার খাগান এলাকায় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ভাড়া করা ‘ব্যাচেলর প্যারাডাইস হোস্টেল’ এর কাছে বসেছিলেন। একপর্যায়ে, সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী অন্য একজনের দিকে থুতু ফেলেন, যা ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীর শরীরে লাগে। এই ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার পর কথা কাটাকাটির পর রাত ৯টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা দেশি অস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিয়ে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির হোস্টেলে হামলা চালান এবং ভাঙচুর করেন। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন এবং পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা সিটি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ঢুকে তিনটি বাস, একটি প্রাইভেটকারসহ কয়েকটি যানবাহনে আগুন দেন। এ ছাড়া, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালানো হয়। এর মধ্যে দুটি প্রাইভেটকার, একটি মোটরসাইকেল, এবং সিটি ইউনিভার্সিটির প্রশাসনিক ভবনে ক্ষয়ক্ষতি হয়। সিটি ইউনিভার্সিটি সংলগ্ন এলাকায় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয় বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, “সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ফেলা থুতু ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীর শরীরে লেগে যাওয়ার পর বিষয়টি মীমাংসিত হয়। তবে রাতে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীদের মেসে ভাঙচুর করা কাম্য ছিল না। আমরা উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সন্তান মনে করি এবং বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে চাই।”

ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির প্রক্টর শেখ মুহাম্মদ আলিয়া বলেন, “এখনো আমাদের ৯ জন শিক্ষার্থী সিটি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে আটকে রয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি, পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান করতে।”

অন্যদিকে, সিটি ইউনিভার্সিটির প্রক্টর অধ্যাপক আবু জায়েদ জানিয়েছেন, “ঘটনার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে এখনো কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। ছাত্রদের মধ্যে মারামারি থেকেই এমন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ক্যাম্পাসে অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুরের ঘটনা পরিকল্পিত হতে পারে। আমাদের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।”

ঘটনার পরপরই পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। তবে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা কমানো এবং ভবিষ্যতে এমন সহিংসতা প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এই ধরনের সহিংস ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি, এই ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কর্তৃপক্ষের সক্রিয় পদক্ষেপ প্রয়োজন।

এদিকে, দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন জানিয়েছে, তারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই সহিংসতা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করবে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com