রাজনীতি ডেস্ক
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় থাকা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তালিকাভুক্ত ‘শাপলা কলি’ প্রতীক মেনে নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল হক মুসা।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান। বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ এবং জহিরুল হক মুসা উপস্থিত ছিলেন।
জহিরুল হক মুসা বলেন, “গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন নতুন করে কয়েকটি প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ‘শাপলা’, ‘সাদা শাপলা’ ও ‘শাপলা কলি’ প্রতীক যুক্ত হয়েছে। আজ এনসিপি ইসির তালিকা অনুযায়ী প্রতীক বাছাইয়ের আবেদন জমা দিয়েছে। আমাদের প্রথম পছন্দ ‘শাপলা’, দ্বিতীয় ‘সাদা শাপলা’ এবং তৃতীয় ‘শাপলা কলি’। যদি ইসি শাপলা কলি প্রতীক বরাদ্দ দেয়, আমরা তা গ্রহণ করব।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই নির্বাচন কমিশন ‘শাপলা কলি’ প্রতীককে আমাদের দলের জন্য বিবেচনায় নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করুক।”
ইসি সূত্রে জানা গেছে, এনসিপির প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয় মূলত দলটির দীর্ঘদিনের দাবি করা ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে আলোচনা করতে। তবে নির্বাচন কমিশন আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ‘শাপলা’ প্রতীক কোনো দলকে বরাদ্দ দেওয়া হবে না। কারণ, ‘শাপলা’ প্রতীক নির্বাচন পরিচালনা বিধিতে অন্তর্ভুক্ত নয়। সে কারণে এনসিপিকে ওই প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয় বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য নতুন প্রতীকের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকায় ‘শাপলা কলি’ প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে। তবে এনসিপি দীর্ঘদিন ধরে ‘শাপলা’ প্রতীককে তাদের দলের প্রতীক হিসেবে দাবি করে আসছিল।
এনসিপির নেতারা মনে করছেন, ‘শাপলা কলি’ প্রতীকটি তাদের দলের মূল দাবি ‘শাপলা’র নিকটতম প্রতীক হওয়ায় এটি গ্রহণ করলে দলীয় পরিচিতি রক্ষায় সুবিধা হবে। এ প্রতীক দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যেও সহজে গ্রহণযোগ্য হতে পারে বলে তারা আশা করছেন।
ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কমিশন নতুন দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির বিষয়ে কোনো আপত্তি আছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রক্রিয়া চলছে। আপত্তি নিষ্পত্তির পর এনসিপির চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন হতে পারে।
নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এনসিপি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে এবং ‘শাপলা কলি’ প্রতীকের অধীনে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।