রাজধানী ডেস্ক
রাজধানীর মিরপুর-২ নম্বর এলাকায় ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) দিনগত রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানা যায়, আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাত ২টা ৫৫ মিনিটে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের দ্রুত পদক্ষেপে রাত ৩টা ৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং রাত ৩টা ২৮ মিনিটে সম্পূর্ণভাবে নির্বাপণ করা সম্ভব হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, বাসগুলোর একটির বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ উদ্ঘাটনে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানায়, সময়মতো খবর পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন যে আগুনের তীব্রতা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার আগেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়, ফলে পার্কিং এলাকায় থাকা অন্যান্য যানবাহন নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া যায়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতের নিরব পরিবেশে হঠাৎ বাসের ভেতর থেকে ধোঁয়া ও শিখা দেখা গেলে আশপাশের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে তারা বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসে জানালে দ্রুত উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
ঘটনার সময় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় বাসগুলো পার্কিংয়ে রাখা ছিল বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুনে দুটি বাসের অভ্যন্তরীণ অংশ ও ইলেকট্রিক সার্কিটের কিছু ক্ষতি হয়েছে, তবে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়নি।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক ত্রুটি কারণ হিসেবে চিহ্নিত হলেও, তদন্ত শেষে নিশ্চিতভাবে কারণ নির্ধারণ করা হবে। তারা পরামর্শ দেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল পরিবহন মালিকদের নিয়মিতভাবে যানবাহনের বৈদ্যুতিক সংযোগ ও সার্কিট পরিদর্শন করা উচিত।
এই ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ পুনরায় অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের মতে, যেকোনো স্থানে পার্ক করা যানবাহনে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু থাকলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকে যায়; তাই নিরাপত্তা নিশ্চিতে এসব বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।