জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
আগামী শনিবার (২২ নভেম্বর) দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা ঘণীভূত হতে পারে। এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। বর্তমানে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপটি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে এবং এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দেশের আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতি ও আগামী দিনের পূর্বাভাস প্রকাশ করেছেন। তার মতে, আগামীকাল বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের আবহাওয়া আংশিক মেঘলা থাকবে এবং শুষ্ক থাকার পূর্বাভাস রয়েছে। ভোরের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, তবে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়ও দেশের আবহাওয়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা ও শুষ্ক থাকবে। এই সময়ে দেশের রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের আবহাওয়া আংশিক মেঘলা ও শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার পাশাপাশি আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা ক্রমশ কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই পূর্বাভাস থেকে বলা যায় যে, সামনের কয়েকদিনে সাধারণত দেশের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে এবং শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করবে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপ ঘণীভূত হলে দেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুর গতি এবং আর্দ্রতার পরিবর্তন দেখা দিতে পারে, যা স্থানীয় মৎস্যজীবী ও নৌযান চলাচলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া দেশের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে ভোরের কুয়াশা অল্প হলেও কৃষি কাজে প্রভাব ফেলতে পারে।
মোটের উপর, দেশের আবহাওয়া সাময়িকভাবে স্থিতিশীল থাকলেও সামনের কয়েকদিনে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা এবং বঙ্গোপসাগরে সম্ভাব্য লঘুচাপের প্রভাবে আঞ্চলিক আবহাওয়ায় কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। সাধারণ মানুষ, কৃষক, নৌচালক ও যাত্রীরা আবহাওয়ার হালনাগাদ তথ্য রাখলে সুবিধা হবে