আবহাওয়া ডেস্ক
দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে লঘুচাপের প্রভাবে ১ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষকে এই সতর্কতা প্রদানের পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ তথ্য জানানো হয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন শ্রীলঙ্কা উপকূলে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আজ সকাল ৬টায় নিম্নচাপের অবস্থান চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২০৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে রেকর্ড করা হয়। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারপাশে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত রয়েছে এবং দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে সমুদ্রবন্দরগুলোতে সতর্কসংকেত দেখানো হচ্ছে এবং সাগর উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই পরিস্থিতিতে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে বিচরণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এলাকায় কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এ ধরনের নিম্নচাপের কারণে দেশের উপকূলীয় এলাকায় সাময়িকভাবে ঝড়ো হাওয়া এবং উচ্চ জোয়ারের সৃষ্টি হতে পারে। মৎস্যজীবী ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়া এবং জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সমুদ্রপথে চলাচলকারী ছোট নৌকা ও ট্রলারের জন্য নিরাপদ বন্দরে অবস্থান অব্যাহত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়ার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হলে সমুদ্রপথে যাতায়াত ও উপকূলীয় এলাকায় নদী-নালা উজানের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উপকূলীয় জেলা প্রশাসন, মৎস্যজীবী সমিতি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সমন্বিতভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করছেন।
দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে এসব সতর্কতা মেনে চললে মানুষের জীবন ও মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।