বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানায়, দেশের কিছু অংশে শীতের প্রাথমিক অনুভূতি শুরু হলেও কার্যকর কোনো শৈত্যপ্রবাহ এখনও লক্ষ্য করা যায়নি। উল্টো, দেশের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা সাময়িকভাবে বেড়েও গেছে। এই উষ্ণতা স্বল্পস্থায়ী হলেও নভেম্বর মাসে বড় কোনো শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই।
বিডব্লিউওটি জানায়, দেশের উত্তরের জেলাগুলোতে শীতের আভাস পাওয়া গেলেও চট্টগ্রাম বিভাগের তাপমাত্রা এখনও উষ্ণতায় রয়েছে। এই বিভাগের জেলার দিনের তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে, আর রাতের তাপমাত্রা এখনও ২০ ডিগ্রির উপরে রয়েছে। ফলে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে শীতের অনুভূতি তুলনামূলকভাবে কম।
সংস্থাটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, নভেম্বরের বাকি দিনগুলোতে তাপমাত্রা দোলাচলে থাকবে। দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী এলাকায় যেমন তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে, দেশের দক্ষিণের টেকনাফে তা ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি থাকতে পারে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রির মধ্যে, আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩২ ডিগ্রির মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়ার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরোপুরি শীত উপভোগ করতে হলে শৈত্যপ্রবাহ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এই সময় পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রার ওঠানামা চলমান থাকতে পারে। ফলে সাধারণ মানুষকে হালকা ও মাঝারি উষ্ণতার সঙ্গে আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
বিডব্লিউওটির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, দেশের উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রভাব তুলনামূলকভাবে বেশি, যেখানে দিন এবং রাতের তাপমাত্রার মধ্যে ব্যবধান বেশি। অন্যদিকে দক্ষিণাঞ্চলে আর্দ্র ও উষ্ণ বাতাসের কারণে শীতের অনুভূতি কম। এই ভৌগোলিক বৈচিত্র্যের কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ অঞ্চলে তাপমাত্রার দোলাচল আরও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।
মৌসুমি পরিবর্তনের এই অবস্থার প্রভাব যেমন দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় পড়তে পারে, তেমনি কৃষি ও পরিবেশগত ব্যবস্থাপনায়ও গুরুত্ব বহন করে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের শীতলতা ও দক্ষিণাঞ্চলের উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে কৃষি কাজের সময়সূচিতে সামঞ্জস্য রাখতে হবে।
নভেম্বরের শেষের দিকে আবহাওয়া আরও স্থিতিশীল হতে পারে, তবে শৈত্যপ্রবাহের আগমনের বিষয়ে বিশেষ কোনো নিশ্চিত পূর্বাভাস এখনও দেওয়া হয়নি। নাগরিকরা স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বজায় রাখতে এবং হঠাৎ তাপমাত্রা কমার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন।