শিক্ষা ডেস্ক
শনিবার (২২ নভেম্বর) রাতে ঢাকার বকশিবাজারে অবস্থিত একটি আলিয়া মাদরাসায় মিলাদ মাহফিল চলাকালে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রাত ১০টার দিকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষের কারণে পরিস্থিতি দ্রুত উত্তেজিত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল খায়ের জানান, “মিলাদ মাহফিল চলাকালীন কোনো একটি বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।”
আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ওবায়দুল হক বলেন, “একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ভেতরে সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছে। আমরা ওসি সহ শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানাই, তবে কেউ কথাটি শোনেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।”
সংঘর্ষের পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাদরাসার ক্যাম্পাসের ভেতরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দেখা যায়। পরে সেনা সদস্যরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মিলাদ মাহফিল চলাকালে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে পরিস্থিতি সহিংস সংঘর্ষে রূপ নেয়। পুলিশ হস্তক্ষেপ করে আহত কয়েকজন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এছাড়া সংঘর্ষের সময় একদল শিক্ষার্থী একজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। ওই সময় তাদের মোবাইল ফোন এবং সরাসরি সম্প্রচারের সরঞ্জাম কেড়ে নেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ১১টার দিকে মাদরাসার হলের ভেতরে কয়েকজন শিক্ষার্থী অবরুদ্ধ ছিলেন। পুলিশ তাদের উদ্ধারে কাজ চালায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মাদরাসার ভেতরে সংঘর্ষের এই ঘটনা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, মাদরাসার পরিচালনা ব্যবস্থা এবং জরুরি পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ধরনের সংঘর্ষ প্রতিরোধে প্রশাসনকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে।