রাজধানী ডেস্ক
ঢাকা, রোববার: রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত শনিবার একদিনে ১ হাজার ৪৫টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। এ তথ্য জানিয়েছে ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
ডিএমপির ট্রাফিক সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের অধীনে ১৩টি বাস, তিনটি ট্রাক, ২০টি কাভার্ডভ্যান, ৭৬টি সিএনজি ও ১৪৯টি মোটরসাইকেলসহ মোট ২৯৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগে ছয়টি বাস, নয়টি ট্রাক, ১৪টি কাভার্ডভ্যান, নয়টি সিএনজি ও ৩৭টি মোটরসাইকেলসহ ৯৪টি মামলা হয়েছে।
তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের এলাকায় তিনটি বাস, দুটি ট্রাক, সাতটি কাভার্ডভ্যান, ১৬টি সিএনজি ও ৫৭টি মোটরসাইকেলসহ মোট ৯৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের অধীনে চারটি বাস, চারটি ট্রাক, ছয়টি কাভার্ডভ্যান, নয়টি সিএনজি ও ৩৩টি মোটরসাইকেলসহ ৭১টি মামলা হয়েছে।
গুলশান ট্রাফিক বিভাগের এলাকায় ১১টি বাস, সাতটি কাভার্ডভ্যান, ১১টি সিএনজি ও ৯৯টি মোটরসাইকেলসহ মোট ১৬৬টি মামলা হয়েছে। উত্তরা ট্রাফিক বিভাগের অধীনে ১৩টি বাস, তিনটি ট্রাক, তিনটি কাভার্ডভ্যান, ২৫টি সিএনজি ও ৪৬টি মোটরসাইকেলসহ ১৩০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রমনা ট্রাফিক বিভাগের এলাকায় ছয়টি বাস, ছয়টি কাভার্ডভ্যান, ১৬টি সিএনজি ও ২৪টি মোটরসাইকেলসহ ৮৪টি মামলা হয়েছে।
লালবাগ ট্রাফিক বিভাগের ক্ষেত্রে চারটি বাস, তিনটি ট্রাক, একটি কাভার্ডভ্যান, ১৩টি সিএনজি ও ৬২টি মোটরসাইকেলসহ মোট ১০৫টি মামলা করা হয়েছে। অভিযানকালে মোট ২৭২টি গাড়ি ডাম্পিং এবং ১০৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি জানিয়েছে, রাজধানীতে ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিশেষ করে বেপরোয়া গাড়ি চালানো, অযথাস্থানে গাড়ি দাঁড় করানো এবং যানজট সৃষ্টি করার মতো আচরণ রোধে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের পদক্ষেপ নগরীর যানজট কমানো এবং পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ঢাকার বিভিন্ন ট্রাফিক বিভাগের অভিযান থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি মামলা গুলশান ও মতিঝিল এলাকায় হয়েছে। বিশেষভাবে সিএনজি ও মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের ঘটনা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, ভবিষ্যতেও নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আইন লঙ্ঘন রোধ এবং সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়া, গাড়ি ডাম্পিং ও রেকারের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয়ভাবে যানজট সৃষ্টি করা বন্ধ করতে ও শহরের সড়কে যানচলাচল সুগম রাখতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ডিএমপির এই ধরনের কার্যক্রম নগরবাসীর জন্য সড়ক ব্যবহারকে আরও নিরাপদ ও সুব্যবস্থাপিত করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।