শিক্ষা ডেস্ক
সোমবার (২৪ নভেম্বর) মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ড. মো. ইসমাইল হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ডকেট নং ১৪৪২-এর মাধ্যমে অধিদপ্তরে দাখিলকৃত অভিযোগে বলা হয়েছে যে, মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদে মো. আবুল হোসাইনকে নিয়োগ ও এমপিওভুক্ত করা হয়েছে ‘অবৈধভাবে’। একই সময়ে কিছু তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর নিয়োগও অনিয়মের অভিযোগের অন্তর্ভুক্ত।
অভিযোগের ভিত্তিতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর উপ-পরিচালক (অর্থ) ড. কে এম শফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য কমিটি আগামী ২ ডিসেম্বর নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি, সদস্য সচিব, শিক্ষক প্রতিনিধি, অভিভাবক সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট মোট ১১ জনকে অধিদপ্তরের সভাকক্ষে উপস্থিত হয়ে শুনানিতে অংশ নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
শুনানিতে অংশ নিতে নির্দেশপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন: নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর, সদস্য সচিব মোছা. ফাতেমা বেগম, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী, অভিভাবক সদস্য জাহাংগীর আলম, শিক্ষক প্রতিনিধি মো. শফিউল ইসলাম, কো-অপ্ট সদস্য মো. মোজাম্মেল হক, দাতা সদস্য মো. শাহজালাল উদ্দিন, অভিভাবক সদস্য মো. খালেক আলী, অভিভাবক সদস্য মো. খলিলুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান এবং এমপিওভুক্ত অধ্যক্ষ মো. আব্দুল হোসাইন।
তদন্ত কমিটির শুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য তাদের সকাল ১১টায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সভাকক্ষ (লিফট-৮) এ উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর অভিযোগের সত্যতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষার মান ও নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য এ ধরনের তদন্তকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। অধ্যক্ষ ও কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিচালিত তদন্ত ভবিষ্যতে মাদ্রাসার প্রশাসনিক নিয়ম-কানুন এবং এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে।
তদন্তের ফলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ হলে মাদ্রাসার প্রশাসনিক কাঠামো এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবে, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আস্থা বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।