রাজধানী ডেস্ক
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার দিকে অগ্রসর হওয়া শিক্ষার্থীদের মিছিল পুলিশ বাধার মুখে পড়ে। দুপুরে জাতীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হওয়া এই পদযাত্রা জাতীয় জাদুঘরের সামনে থামিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা বসে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যান।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, আগের বিসিএসগুলোতে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অংশগ্রহণকারীদের ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় দেওয়া হতো, কিন্তু এবার তা মাত্র দুই মাসের মতো সীমিত রাখা হয়েছে। তারা বলছেন, এত কম সময়ে বড় পরীক্ষার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব নয়, তাই পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দেওয়াই একমাত্র সমাধান।
শিক্ষার্থীরা আরও দাবি করেছেন, চলমান পরিস্থিতিতেও পিএসসি চেয়ারম্যানের আচরণকে তারা স্বৈরাচারী হিসেবে দেখছেন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ২৭ নভেম্বরের মধ্যে যদি পিএসসি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নেন, তাহলে রাজপথে অবস্থান অব্যাহত রাখবেন। একই সঙ্গে তারা পিএসসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিও তোলেন।
পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। পরীক্ষা সারাদেশের আটটি কেন্দ্র—ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ—একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারের বিষয়গুলোর পরীক্ষা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর আট বিভাগীয় শহরের ২৫৬টি কেন্দ্রে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষায় ৩ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি আবেদনকারীর মধ্যে ১০ হাজার ৬৪৪ জন উত্তীর্ণ হন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল ২৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের এ ধরনের আন্দোলন সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার সময়সূচি ও প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সমন্বয় ও সময় ব্যবস্থাপনার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যথাযথ প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় না দিলে পরীক্ষার্থীদের মানসম্মত প্রস্তুতি বাধাগ্রস্ত হতে পারে এবং এর ফলে সরকারি চাকরিতে যোগদানের জন্য প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব পড়তে পারে।
পিএসসি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত আগামী কয়েক দিনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।