1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
বাংলাদেশ–আলজেরিয়া সহযোগিতা সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ রাষ্ট্রদূতের ইন্দোনেশিয়া ভিসা গ্রহণ ও জমা কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত প্রকৌশল পেশায় ডিগ্রিভেদজনিত দাবিদাওয়া পর্যালোচনায় কমিটির মেয়াদ বাড়ল পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র লিথুয়ানিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের পোস্টাল ভোট নিবন্ধন ৩ লাখ ছাড়িয়েছে ঢাকার বায়ুমান আবারও অস্বাস্থ্যকর, আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কে অবস্থান সপ্তম ইরান–মিসরের আপত্তিতে সিয়াটলে প্রাইড উদযাপন সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল আজ সন্ধ্যায় ঘোষণা মার্কিন প্রশাসনের ‘ট্রাম্প গোল্ড কার্ড’ ভিসা কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় আইআরজিসির তিন সদস্য নিহত

মেট্রোরেলে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে ডিএমটিসিএল কর্মকর্তারা

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১৪ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় ডেস্ক

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) স্বতন্ত্র চাকরি-বিধিমালা প্রণয়ন ও প্রকাশের দাবিতে প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পূর্বঘোষিত আল্টিমেটাম অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও সব ধরনের যাত্রীসেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে কর্মবিরতির পাশাপাশি প্রতিদিন ডিএমটিসিএল প্রধান কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। কর্মচারীরা অভিযোগ করছেন, দীর্ঘদিন ধরে চাকরি-বিধিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় তারা বিভিন্ন মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন এবং সমস্যার সমাধানে কোনো কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় বাধ্য হয়েই কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন।

ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, ২০১৩ সালে কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর প্রায় ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত ৯০০-এর বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য কোনো স্বতন্ত্র চাকরি-বিধিমালা চূড়ান্ত হয়নি। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর পর থেকে উন্মুক্ত নিয়োগের মাধ্যমে যোগ দেওয়া কর্মচারীরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করলেও ছুটি, কনট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড (সিপিএফ), গ্র্যাচুইটি, শিফট-অ্যালাউন্স বা ওভারটাইম, গ্রুপ ইনস্যুরেন্সসহ বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছেন না। তাদের দাবি, দীর্ঘসূত্রতার কারণে কর্মপরিবেশ, আর্থিক সুবিধা ও ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার কাঠামো নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

কর্মচারীদের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর উপদেষ্টা কমিটির নির্দেশনায় ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে ডিএমটিসিএলের সার্ভিস রুল প্রণয়ন করার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। পরবর্তীতে ২০২৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কর্মচারীরা আন্দোলন শুরু করলে কর্তৃপক্ষ ২০ মার্চের মধ্যে চাকরি-বিধিমালা চূড়ান্ত করার আশ্বাস দেয়। তবে সেই সময়সীমা অতিবাহিত হওয়ার পরেও নিয়মাবলি প্রকাশ না হওয়ায় কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। তাদের মতে, দীর্ঘ ৯ মাস ধরে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় কর্মীদের আস্থা দুর্বল হয়েছে এবং পরিস্থিতি সংকটময় পর্যায়ে পৌঁছেছে।

২০২৫ সালের ১০ ডিসেম্বর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠকে জানান যে চাকরি-বিধিমালার বেশিরভাগ বিষয় নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ একমত হলেও ‘বিশেষ বিধান’ সংক্রান্ত একাদশ অধ্যায় নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। এই অধ্যায়ের প্রস্তাবিত বিধানে মেট্রোরেল প্রকল্পের জনবলকে ডিএমটিসিএলে আত্মীকরণের বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে, যা নিয়ে কর্মচারীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, এই প্রস্তাবিত বিধান দেশের বিদ্যমান আইন ও মামলার রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং তা চাকরির স্বচ্ছতা ও কাঠামোগত শৃঙ্খলার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, পরিচালনা পর্ষদ বিতর্কিত বিধানটি বাদ দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহী থাকলেও কোম্পানির উচ্চপর্যায়ের চাপের কারণে চাকরি-বিধিমালা প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে। তাদের মতে, সার্ভিস রুল প্রকাশ বিলম্বিত হওয়ায় কর্মচারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ঘোষিত কর্মবিরতির ফলে মেট্রোরেল ব্যবহারকারী কয়েক লাখ যাত্রীর ভোগান্তি বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। নিয়মিত অফিসগামী, শিক্ষার্থী এবং জরুরি কাজে যাতায়াতকারী মানুষ বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হবেন। মেট্রোরেল প্রতিদিন রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ রুটে দ্রুত, সময়নিষ্ঠ ও স্বল্পখরচের যাতায়াতের সুবিধা দিয়ে থাকে। ফলে সেবা বন্ধ থাকলে ঢাকা শহরের যানবাহন চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ডিএমটিসিএল কর্মচারীরা জানিয়েছেন, তারা আলোচনার পথ খোলা রেখেছেন এবং সার্ভিস রুল প্রকাশের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হলে কর্মসূচি প্রত্যাহারের বিষয়ে বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে তাদের দাবি, চূড়ান্ত চাকরি-বিধিমালা ছাড়া কোনো সমাধান গ্রহণযোগ্য নয়। কর্মচারীদের ভাষ্য অনুযায়ী, অস্পষ্ট চাকরি কাঠামো ও সুবিধাহীন অবস্থায় দীর্ঘমেয়াদি দায়িত্ব পালনে তারা ক্রমশ মানসিক চাপে পড়ছেন, যা কর্মদক্ষতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

চাকরি-বিধিমালা নিয়ে অচলাবস্থা অব্যাহত থাকলে মেট্রোরেলের স্বাভাবিক কার্যক্রম দীর্ঘমেয়াদে ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। পরিস্থিতি সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের অভিমত।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com