1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
জাতীয় নাগরিক পার্টির ১২৫ আসনে নারী প্রার্থী ১৪ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এনসিপির প্রার্থী তালিকায় ঢাকা বিভাগের ৩১ আসন তারেক রহমানের সম্ভাব্য দেশে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন মির্জা ফখরুল ঢাকা-৭ আসনে এনসিপির মনোনয়ন পেলেন তারেক এ আদেল ইইউ কূটনীতিকদের সঙ্গে নির্বাচন-পূর্ব পরিস্থিতি নিয়ে এনসিপির মতবিনিময় বাংলাদেশ–আলজেরিয়া সহযোগিতা সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ রাষ্ট্রদূতের ইন্দোনেশিয়া ভিসা গ্রহণ ও জমা কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত প্রকৌশল পেশায় ডিগ্রিভেদজনিত দাবিদাওয়া পর্যালোচনায় কমিটির মেয়াদ বাড়ল পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র লিথুয়ানিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের পোস্টাল ভোট নিবন্ধন ৩ লাখ ছাড়িয়েছে

প্রকৌশল পেশায় ডিগ্রিভেদজনিত দাবিদাওয়া পর্যালোচনায় কমিটির মেয়াদ বাড়ল

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় ডেস্ক

প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবিদাওয়া যাচাই–বাছাই করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য গঠিত কমিটির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সাম্প্রতিক সময়ে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে কমিটির কার্যক্রম দীর্ঘায়িত করেছে।

সরকার চলতি বছরের ২৭ আগস্ট আট সদস্যের এ কমিটি গঠন করে। উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে কমিটির সভাপতি করা হয়। কমিটিতে চারজন উপদেষ্টার পাশাপাশি প্রকৌশলীদের বিভিন্ন পেশাগত সংগঠনের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গঠনকালীন সময়ে কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলেও বিভিন্ন কারণে সময়সীমা প্রথম দফায় বৃদ্ধি করা হয়। নতুন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তা পুনরায় ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত বর্ধিত হলো।

কমিটি গঠনের পেছনে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আগস্টের শেষ সপ্তাহে বুয়েটসহ একাধিক প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে। তারা দাবি-দাওয়া সমাধানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায় এবং প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ভবন ঘেরাওয়েরও চেষ্টা করে। এ আন্দোলনের পর সরকার পেশাগত জটিলতা নিরসনের উদ্দেশ্যে একটি নীতিগত পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে।

কমিটির সভাপতি ফাওজুল কবির বর্তমানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

এ ছাড়া দেশের প্রকৌশল পেশার তিন গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন থেকে প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের সভাপতি প্রকৌশলী মো. কবির হোসেন এবং বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. প্রকৌশলী তানভির মঞ্জুর কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা) কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক কমিটির সদস্য সচিব।

কমিটির মূল দায়িত্ব হচ্ছে প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত ভূমিকা, দায়িত্ববণ্টন, নিয়োগনীতি, পদোন্নতি কাঠামো এবং পেশাগত স্বীকৃতিসহ অন্যান্য দাবিগুলোর যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করা। পাশাপাশি দেশে প্রকৌশল খাতে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী দক্ষতা মূল্যায়ন, প্রকৌশলী নিবন্ধন ব্যবস্থা এবং পেশাদারিত্ব নিশ্চিতের সম্ভাব্য পথনির্দেশনা নিয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করাও কমিটির দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত।

জানা গেছে, কমিটি ইতোমধ্যে কয়েকটি বৈঠক করেছে এবং কার্যক্রম গতিশীল করতে একটি ওয়ার্কিং কমিটি ও একটি উপকমিটি গঠন করেছে। বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের মতামত সংগ্রহ, বিদ্যমান আইন ও নীতিমালা পর্যালোচনা এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট যাচাই–বাছাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। সূত্রানুযায়ী, কমিটি পেশাজগতের দীর্ঘদিনের বিতর্ক—বিশেষ করে ডিগ্রিভেদজনিত পেশাগত পার্থক্য—সমাধানে বাস্তবসম্মত সুপারিশ তৈরি করতে চাইছে।

কমিটির কাজের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদনের গুণগত মান নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হওয়ায় মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার মাধ্যমে প্রকৌশল খাতের নীতিনির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের প্রত্যাশা, কমিটির সুপারিশ ভবিষ্যতে পেশাগত ভারসাম্য রক্ষা, প্রশাসনিক জটিলতা দূর করা এবং প্রকৌশল খাতের দক্ষ মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com