রাজনীতি ডেস্ক
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে শুধু তারেক রহমান নয়, বরং গণতন্ত্রও ফিরে আসছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এই গণতন্ত্রকে লালন করেছেন; আজকের দিনে তারেক রহমান সেই গণতন্ত্রের ধারাকে সামনে নিয়ে আসছেন।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, দেশের সুস্থ গণতন্ত্রের পথে যারা বাধা সৃষ্টি করছে, তারা দেশের প্রকৃত কল্যাণচিন্তক নয়। তিনি উল্লেখ করেন, ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে কিছু গোষ্ঠী দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং বর্তমানেও তারা একইভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের সামনে অগণতান্ত্রিক শক্তি দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকতে পারবে না। সভায় তিনি সতর্ক করে বলেন যে, ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া, সভায় দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে সুষ্ঠু ও নিরাপদ নির্বাচন প্রক্রিয়ার গুরুত্বের ওপরও জোর দেওয়া হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের মান বজায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, গণতন্ত্রের নামে কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জনজীবনে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করলে তা সমাধান করার জন্য সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
সভায় বক্তারা দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তারা বলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখার জন্য সকল পক্ষকে সংলাপ ও সহমত ভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
মির্জা আব্বাসের বক্তব্যে প্রাধান্য পেয়েছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে নিরাপদ ও সুস্থ রাখার প্রয়োজনীয়তা। তিনি বলেন, দেশের জনগণ শান্তিপূর্ণ ও সুবিন্যস্ত রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার প্রত্যাশী এবং সেই লক্ষ্যে সকল রাজনৈতিক দলের দায়িত্ববোধ অপরিহার্য।