নিজস্ব প্রতিবেদক
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এ যোগদানের ঘোষণা দেন। তিনি কুমিল্লা-৭ আসন থেকে আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি জানান।
ড. রেদোয়ান আহমেদের যোগদান বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতিকে শক্তিশালী করতে পারে বলে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আশা করছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমার অভিজ্ঞতা ও জনগণের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সংযোগকে কাজে লাগিয়ে আমি বিএনপির প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচনে অংশ নেব।”
এদিকে, সমমনা দল ও নির্বাচনী জোটের মধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে বিএনপি আলোচনা চালাচ্ছে। তবে জোটের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এই বিষয়ে সন্তুষ্ট নন। কয়েকটি আসনে বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে মিত্র দলের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হলেও বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছে, বিষয়গুলো সমাধান হবে এবং নির্বাচনী পরিকল্পনা অক্ষুণ্ণ থাকবে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমিতে বিএনপির মিত্র হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, ১১ দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, বিজেপি, গণঅধিকার পরিষদ, এনডিএম, চারদলীয় বাম জোট এবং লেবার পার্টিসহ প্রায় ৫৭টি দল ও জোট রয়েছে। এই জোটগুলো বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও নির্বাচনী প্রস্তুতিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ড. রেদোয়ান আহমেদের যোগদান বিএনপির রাজনৈতিক প্রভাব এবং নির্বাচনী চিত্রে একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। কুমিল্লা-৭ আসনটি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দল ও প্রার্থীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে এই আসনটি কার দখলে যাবে তা রাজনৈতিক মহলের নজরকাড়ার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি ও তাদের মিত্র দলগুলো এ মুহূর্তে ভোটার সমর্থন বাড়াতে এবং নির্বাচনী কৌশল চূড়ান্ত করতে নানা পর্যায়ে প্রস্তুতি অব্যাহত রেখেছে। সব মিলিয়ে, ড. রেদোয়ান আহমেদের যোগদান, আসন বণ্টন নিয়ে জোটের চলমান আলোচনা এবং স্থানীয় নেতাদের স্বতন্ত্র মনোভাব আগামী নির্বাচনের নির্বাচনী ধারা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।