1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের কোহলু জেলায় সেনা অভিযানে পাঁচজন নিহত সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে দেশপ্রেমিকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা: আদিলুর রহমান খান লোক বদল নয়, দেশ বদলাতে হলে সিস্টেম বদল জরুরি: তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা ফরিদপুর জিলা স্কুলের পুনর্মিলনীতে বিশৃঙ্খলা, বাতিল হলো জেমসের কনসার্ট গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে রাশেদ খাঁনের পদত্যাগ বিপিএলের ম্যাচ শুরুর আগে সিলেটে ঢাকা ক্যাপিটালসের সহকারী কোচের মৃত্যু বিএনপিতে যোগ দিলেন মোহাম্মদ রাশেদ খাঁন, ঝিনাইদহ-৪ এ ধানের শীষে মনোনয়ন জিয়ারত শেষে হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিকের সঙ্গে কথা বলেন তারেক রহমান তারেক রহমান ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের সব কার্যক্রম সম্পন্ন ভাঙ্গা–খুলনা মহাসড়কে ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত

ইসলামপন্থি আটদলীয় জোটে বরিশাল সদর আসন নিয়ে টানাপোড়েন

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১১ বার দেখা হয়েছে


নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসলামপন্থি দলগুলোর মধ্যে গঠিত আটদলীয় নির্বাচনী জোটে প্রার্থী বাছাই ও আসন বণ্টন প্রায় চূড়ান্ত হলেও বরিশাল বিভাগের ২১টি আসন নিয়ে জটিলতা এখনো কাটেনি। বিশেষ করে বরিশাল সদর আসনকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মধ্যে মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। জোটের ভেতরে জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে আসন বণ্টনের সিদ্ধান্ত থাকলেও এই আসন নিয়ে দুই দলের অনড় অবস্থান জোটের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

জানা গেছে, ইসলামপন্থি ভোট একত্র করার লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ মোট আটটি দল নিয়ে এই নির্বাচনী জোট গঠিত হয়েছে। অন্য দলগুলো হলো খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)। জোটের নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, অধিকাংশ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত হলেও বরিশাল বিভাগের কয়েকটি আসনে সমঝোতা হয়নি।

জোটের নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যে দলের জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক অবস্থান যেখানে বেশি, সেই দল সংশ্লিষ্ট আসনে প্রার্থী দেবে। এই হিসাব অনুযায়ী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দাবি করছে, পিরোজপুরের দুটি আসন ছাড়া বরিশাল বিভাগের বাকি অধিকাংশ আসনেই তাদের শক্ত অবস্থান রয়েছে। দলটির নেতাদের মতে, এ কারণে তারা বিভাগের অন্তত ১৫টি আসন পাওয়ার যৌক্তিক দাবি রাখে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম বলেন, বরিশাল অঞ্চল দলটির ঐতিহ্যগত ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত। তাঁর দাবি অনুযায়ী, বরগুনার দুটি আসনেই ইসলামী আন্দোলনের অবস্থান শক্ত। বিশেষ করে বরগুনা-২ আসনে দলের নেতা গোলাম সরোয়ার হিরু অতীতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং পরবর্তী নির্বাচনেও উল্লেখযোগ্য ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া পিরোজপুরে জামায়াতে ইসলামীর প্রভাব বিবেচনায় সেখানে দুটি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। ওই দুটি আসনে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই ছেলে মাসুদ সাঈদী ও শামীম সাঈদী জোটের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

অন্যদিকে, ভোলা-৩ আসন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে ছাড় দেওয়ার সম্ভাবনার কথাও আলোচনায় রয়েছে। পটুয়াখালীর বাউফল আসন জামায়াতের প্রার্থী ডা. শফিকুল ইসলাম মাসুদের জন্য ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে ইসলামী আন্দোলন। তবে ঝালকাঠি-১ ও ঝালকাঠি-২ আসন নিয়ে দুই দলের মধ্যে এখনো সমঝোতা হয়নি। ঝালকাঠি-২ আসনে ইসলামী আন্দোলন তাদের প্রার্থী মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজীর মনোনয়ন বহাল রাখতে চায়, যদিও জামায়াতও সেখানে প্রার্থী দিতে আগ্রহী।

সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে বরিশাল সদর আসন। ইসলামী আন্দোলনের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের রাজনৈতিক ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনে দলটির শীর্ষ নেতারা একে ‘মর্যাদার আসন’ হিসেবে দেখছেন। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের হয়ে চরমোনাই পীরের তিন ভাই চারটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুর করীম বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ আসনে এবং সহকারী মহাসচিব মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। ফলে জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে অন্তত তিনটি আসনে দলটি দাবি জানাচ্ছে।

জামায়াতে ইসলামীও বরিশাল সদর আসনে তাদের অবস্থান জোরালো বলে মনে করছে। দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়ায্যম হোসাইন হেলাল দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, বরিশালে জামায়াতে ইসলামীর দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস রয়েছে এবং অতীতের বিভিন্ন নির্বাচনে দলটি এই আসনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে। তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত আটদলীয় জোটই জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক শক্তি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেবে।

ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুর করীম সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভায় বলেন, যেভাবে অন্য কোনো দল জামায়াতের আমিরের আসন দাবি করতে পারে না, একইভাবে বরিশাল সদর আসন ইসলামী আন্দোলনের আমিরের আসন হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত। তাঁর মতে, এই মৌলিক সমঝোতা ছাড়া জোটের ঐক্য টেকসই হবে না।

সব মিলিয়ে বরিশাল বিভাগের আসন বণ্টন, বিশেষ করে সদর আসন নিয়ে মতবিরোধ, ইসলামপন্থি আটদলীয় জোটের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত সমাধানে পৌঁছাতে না পারলে নির্বাচনের আগে জোটের ঐক্য ও কৌশল নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com