খেলাধুলা ডেস্ক
গত মৌসুমে লিভারপুলের একেবারে প্রাণভোমরা হিসেবে খ্যাত ছিলেন মিসরীয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ। একের পর এক গোল করে দলের জয়ে অবদান রাখছিলেন তিনি, কিন্তু চলতি মৌসুমে শুরু থেকেই মাঠে তার ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওঠে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ম্যাচে তাকে একাদশে দেখা না যাওয়ায় সালাহ এবং লিভারপুল কোচ আর্নে স্লটের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
সালাহ নিজেই এ বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন। তিনি দাবি করেন, পূর্বে তার এবং স্লটের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল, তবে হঠাৎ করেই সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করতে পারি না যে, আমাকে ৯০ মিনিট বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয়েছে। দলে জয় না পেলেও আমাকে দায়ী করা হচ্ছে। আমাকে বলির পাঠা বানানো হয়েছে।”
এমন বিতর্কের মধ্যে সালাহর ফুরিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লেও, তিনি নিজেকে প্রমাণ করতে পিছপা হননি। মিসরের জাতীয় দলে তার পারফরম্যান্স এখনও চমকপ্রদ। আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সে তার অসাধারণ অবদান মিসরের জয় নিশ্চিত করেছে।
আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সে মিসর প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামে। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর, দ্বিতীয়ার্ধে মিসর ম্যাচে ফিরে আসে। ৬৪ মিনিটে ওমর মারমাউসের গোলে সমতা আনে মিসর। ম্যাচটি নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পথে ছিল, তবে যোগ করা সময়ে সালাহ নিজের শক্তি প্রমাণ করে ২-১ গোলের জয়ে মিসরকে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ী করেন।
দ্বিতীয় ম্যাচে মিসরের বিপক্ষে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচে মিসর ১০ জনের দল নিয়ে খেলছিল, কারণ মোহাম্মদ হানি লাল কার্ডের কারণে মাঠ ছাড়েন। তবে সালাহ একক প্রচেষ্টায় দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন, এবং মিসরের পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছানোর পথ পরিষ্কার করেন।
এখন পর্যন্ত আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সে দুই ম্যাচে দুটি জয় নিয়ে মিসর পরবর্তী রাউন্ডে উঠেছে। সালাহর এই অসাধারণ পারফরম্যান্সে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, বয়স বা বিতর্ক কোনোভাবেই তার ফুটবল ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলতে পারেনি।