নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: সারা দেশের মতো রাজধানী ঢাকায়ও শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিনে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে, যা শীতের প্রকোপের আরও একটি প্রমাণ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে, দেশের কয়েকটি অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, আগামী পাঁচ দিন আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার জন্য আবহাওয়া পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে, যা শীতের তীব্রতা বাড়াচ্ছে। একই সময়ে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যা আবহাওয়ার অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত।
শৈত্যপ্রবাহের বিষয়টি সম্পর্কে সিনিয়র আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক গণমাধ্যমকে বলেন, “দেশের কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলেও, তা শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে গণ্য হয় না। সাধারণত, দুটি বা তার বেশি স্থান যদি দুই দিন ধরে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা নেমে থাকে এবং স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম থাকে, তখন আমরা শৈত্যপ্রবাহ বলি।”
এ মৌসুমে এখনো এই পরিস্থিতি দেখা যায়নি, তবে আগামী বছরের শুরুতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নদী অববাহিকায় কুয়াশার প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। এই সময়ে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকার কিছু এলাকায় আবারো মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমলেও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এভাবে, শীতের তীব্রতা অব্যাহত থাকায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে দিনরাতের তাপমাত্রার পার্থক্য এবং শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা বৃদ্ধির কারণে।