নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ মনোনয়নপত্রে দাখিল করা হলফনামায় তাঁর বার্ষিক আয় ১৬ লাখ এবং মোট সম্পদের পরিমাণ ৩০ লাখ টাকা হিসেবে দেখানো হয়েছে। নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১ সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, নাহিদ ইসলারের নগদ অর্থ ১৯ লাখ ৫০ হাজার, ব্যাংকে ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, গহনা ৭ লাখ ৭৫ হাজার, ইলেকট্রনিক পণ্য ১ লাখ এবং আসবাবপত্র ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার। এসবের মোট মূল্য হিসাব করে মোট সম্পদ ৩০ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। এছাড়া, নাহিদের স্ত্রীর সম্পদ হিসেবে নগদ ২ লাখ টাকা, গহনা ১০ লাখ টাকার মোট মূল্য ১২ লাখ এবং ব্যাংকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার ঋণ দেখানো হয়েছে।
এনসিপি এবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। মনোনয়নপত্র বাছাই প্রক্রিয়া ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ এবং প্রতীক বরাদ্দের দিন ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি এবং ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা থেকে।
নাহিদ ইসলামের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার মাধ্যমে ঢাকায় নির্বাচনী কার্যক্রমের সূচনা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ঢাকা-১১ আসনটি গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে প্রার্থীদের সম্পদ ও আর্থিক তথ্য জনগণের কাছে স্বচ্ছভাবে তুলে ধরা নির্বাচনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ভোটাররা এখন মনোনয়নপত্রে উল্লেখিত তথ্য, প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি ও দলীয় জোটের প্রভাবের ভিত্তিতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এনসিপি ও তাদের জোটফ্রন্টের কার্যক্রম আগামী নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক পরিবেশ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী দলের কৌশলের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এগোবে। নির্বাচনের প্রস্তুতি, মনোনয়নপত্র যাচাই, প্রচারণা এবং ভোটের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে কার্যক্রম চালানো হবে।