সুস্বাদু মৌসুমি ফল আমের সুঘ্রান ছড়িয়ে পরেছে চারদিকে। হাতের নাগালে দাম হওয়ায় কমবেশি সবাই কিনছে আম। কিন্তু অধিকাংশ ক্রেতাই নিজের অজান্তে কিনে ফেলছেন রাসায়নিকযুক্ত অপরিপক্ক আম। একদিকে স্বাদ গন্ধহীন আম কিনলে খাওয়াটা হয়ে যায় পণ্ড অন্যদিকে আর্থিক লোকসান। তাই ভালো আম চেনার উপায় জানতে হবে। তাহলেই পাওয়া সম্ভব স্বাস্থ্য সম্মত আম। মুক্তি মিলবে ফরমালিন ও বিভিন্ন ক্ষতিকারক ওষুধযুক্ত আম থেকে।
ভালো ও মিষ্টি আমের বৈশিষ্ট্যগুলো কী রকম জেনে নেয়া যাক-
১. আম কেনার পর কিছুক্ষণ রেখে দিন। গাছ পাকা আম হলে গন্ধে মৌ মৌ করবে চারপাশ। ওষুধ দেওয়া আমে এই মিষ্টি গন্ধ হবে না। আর পরিপক্ক আম চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো পাকা আম সাধারণ হলুদাভ হয় এবং পানিতে রাখলে ডুবে যায়।
২. লক্ষ্য করুন যে স্থান থেকে আম কিনছেন সেখানে রাখা আমের গায়ে মাছি বসছে কিনা। কেননা ফরমালিন যুক্ত আমে মাছি বসবে না।
৩. গাছ পাকা আমের শরীরে এক রকম সাদাটে ভাব থাকে। কিন্তু ফরমালিন বা অন্য রাসায়নিকে চুবানো আম হবে ঝকঝকে সুন্দর। কারবাইড বা অন্য কিছু দিয়ে পাকানো আমের শরীর হয় মোলায়েম, দাগহীন ও আ৪. আম নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে শুঁকে তারপর কিনুন। গাছ পাকা আম হলে অবশ্যই বোটার কাছাকাছি ঘ্রাণ থাকবে। ওষুধ দেওয়া আমে মিষ্টি গন্ধ তো থাকবেই না, উল্টো বিচ্ছিরি গন্ধ বের হবে। আম খাওয়ার সময় যদি টক, মিষ্টি কোন স্বাদ না পেয়ে পানসে স্বাদ পান, তাহলে বুঝবেন আমে ওষুধ দেওয়া।
৫. এবড়ো-থেবড়ো নয় এমন আম কিনুন। যে আমের খোসা কুঁচকে গেছে সেটি কিনবেন না। হিমসাগর ছাড়াও নানান জাতের আম আছে, পাকলেও সবুজ থাকে ও অত্যন্ত মিষ্টি হয়। ওষুধ দিয়ে পাকানো হলে আমের শরীর হয় মসৃণ ও সুন্দর।গাগোড়া হলদেটে। কারণ, আমগুলো কাঁচা অবস্থাতেই পেড়ে ফেলে ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়। অন্যদিকে, গাছ পাকা আমের দাগ পড়বেই।৬. যে আম কিনবেন সেখান থেকে একটি আম নিয়ে আঙুলের মাথা দিয়ে হালকা টিপে দেখুন। আম যদি পাকা হয় তবে সেটি নরম হবে। যদি আঙুলের চাপে গর্ত হয়ে যায় তাহলে কিনবেন না। কারণ, আম আগেই বেশি পেকে গেছে। যা খেতে একদমই স্বাদ লাগে না।
৭. প্রাকৃতিকভাবে পাকা আম কাটলে এর ভেতরের শাসটি হবে লালচে হলুদ রংয়ের কিন্তু ফরমালিন যুক্ত আমের ভেতরের অংশটি হবে হালকা অথবা গাঢ় হলুদ রঙের। এর মানে হলো বাইরে থেকে আমটি পাকা দেখালেও ভেতরটি পাকা নয়।
৮. প্রাকৃতিকভাবে পাকা আম বেশ মিষ্টি হয় এবং এতে অনেক বেশি রস থাকে। কিন্তু ফরমালিনযুক্ত আমে রস অনেক কম থাকে। ভেতরটা পাকা থাকে ঠিকই কিন্তু রস কম বের হয়।