1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

যে কারণে মা-বাবার সেবা নফল ইবাদতের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২১
  • ২৭০ বার দেখা হয়েছে

মারজিয়া আক্তার

 

ইসলাম মা-বাবার সেবাকে সাধারণ ইবাদতের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, জুরায়জ নামের বনি ইসরাঈলের একজন ইবাদতগুজার ব্যক্তি ছিলেন। তিনি তাঁর ইবাদতখানায় ইবাদতে নিমগ্ন থাকতেন। একবার তাঁর মা তাঁর কাছে এলেন। তারপর  তাঁর দিকে মাথা উঁচু করে তাঁকে ডাকছিলেন। বলেন, হে জুরায়জ, আমি তোমার মা, আমার সঙ্গে কথা বলো। এ কথা এমন অবস্থায় বলছিলেন, যখন জুরায়জ সালাতে নিমগ্ন ছিলেন। তখন তিনি মনে মনে বলতে লাগলেন, ‘হে আল্লাহ, একদিকে আমার মা, আর অন্যদিকে আমার সালাত (আমি কী করব)।’

অবশেষে তিনি তাঁর সালাতকে অগ্রাধিকার দিলেন এবং তাঁর মা ফিরে গেলেন। পরে তিনি দ্বিতীয়বার এলেন এবং বললেন, হে জুরায়জ, আমি তোমার মা, তুমি আমার সঙ্গে কথা বলো। তিনি বলেন, হে আল্লাহ, আমার মা, আমার সালাত। তখন তিনি তাঁর সালাতে ব্যস্ত রইলেন। তখন মা বললেন, ‘হে আল্লাহ, এ জুরায়জ আমারই ছেলে। আমি তার সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছিলাম। সে আমার সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করল। হে আল্লাহ, তার মৃত্যু দিয়ো না, যে পর্যন্ত তাকে ব্যভিচারিণীর মুখ না দেখাও।’

রাসুল (সা.) বলেন, যদি তাঁর মা তাঁর বিরুদ্ধে অন্য কোনো বিপদের জন্য বদদুয়া করতেন তাহলে অবশ্যই সে বিপদে পতিত হতো। রাসুল (সা.) আরো বলেন, এক মেষ রাখাল জুরায়জের ইবাদতখানার কাছে মাঝেমধ্যে আশ্রয় নিত। তিনি বলেন, এরপর গ্রাম থেকে এক নারী বের হয়ে এলো। ওই রাখাল তার সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়। এতে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে পড়ে এবং একটি পুত্রসন্তান জন্ম দেয়। তখন লোকেরা তাকে জিজ্ঞেস করল, এ (সন্তান) কোথা থেকে? সে জবাব দিল, এ ইবাদতখানায় যে বাস করে, তার থেকে। তিনি বলেন, এরপর তারা শাবল-কোদাল ইত্যাদি নিয়ে এলো এবং চিৎকার করে ডাক দিল। তখন জুরায়জ সালাতে মশগুল ছিলেন। কাজেই তিনি তাদের সঙ্গে কথা বললেন না। তিনি বলেন, এরপর তারা তাঁর ইবাদতখানা ধ্বংস করতে লাগল।

তিনি এ অবস্থা দেখে নিচে নেমে এলেন। এরপর তারা বলল, এ নারীকে জিজ্ঞেস করো (সে কী বলছে)। তিনি বলেন, তখন জুরায়জ মুচকি হেসে শিশুটির মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন, তোমার পিতা কে? তখন শিশুটি বলল, আমার পিতা সেই মেষ রাখাল। যখন তারা সে শিশুটির মুখে এ কথা শুনতে পেল তখন তারা বলল, (হে দরবেশ) আমরা তোমার ইবাদতখানার যতটুকু ভেঙে ফেলেছি তা সোনা-রুপা দিয়ে পুনর্নির্মাণ করে দেব। তিনি বলেন, না। বরং তোমরা মাটি দ্বারা আগের মতো তা নির্মাণ করে দাও। এরপর তিনি তাঁর ইবাদতখানায় উঠে বসেন। (মুসলিম, হাদিস : ৬৪০২)

মূলত এটা ছিল তাঁর মায়ের বদদোয়ার ফল। এ হাদিসের শিক্ষা হলো, নফল তথা সাধারণ ইবাদতের চেয়ে মা-বাবার সেবা অগ্রাধিকারযোগ্য।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com