1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

রঙ ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারে সাবধান

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ১৩৯ বার দেখা হয়েছে

ডা. এসএম রাসেল ফারুক

ত্বক ফর্সা করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত তা পুড়ে গেছে বা হিতে বিপরীত হয়নি- এমন মানুষের সংখ্যা মোটেও কম নয়। প্রতিদিনই কোনো না কোনো রোগীর এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। এদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন, যারা মানসিকভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন। কারণ তারা নিজের সৌন্দর্য বাড়াতে রঙ ফর্সাকারক ক্রিম চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ব্যবহার করে খারাপ করে ফেলেছেন। এসব রোগী বিভিন্ন ধরনের ক্রিম দেখান, যেগুলো তারা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বাজার থেকে কিনেছেন। আবার অনেকে আছেন, যাদের গায়ের রঙ কিছুটা মলিন। ফলে তারা হীনমন্যতায় ভোগেন, এমনকি এ কারণে তাদের বিয়েশাদিও পিছিয়ে যায়। ফর্সা হওয়ার আশায় তারা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই বাজার থেকে বিভিন্ন ব্রান্ডের নামি-বেনামি রঙ ফর্সাকারী ক্রিম মাখতে শুরু করেন। এ রঙ ফর্সাকারী ক্রিমের ক্ষতিকর ও ভালো দিক- দুটোই রয়েছে। তাই বিশেষজ্ঞ ত্বক ও হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জনের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই ব্যবহার করা উচিত।

কুফল : রঙ ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারে গায়ের রঙ খুব কমই ফর্সা হয়। অনেক সময় এ ক্রিম ব্যবহার বন্ধ করে দিলেও ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের কোনো অংশ সাদা, আবার কোনো অংশ কালো হয়ে যায়। এ ক্রিম ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করে দিলে পরবর্তীকালে গায়ের রঙ আরও কালো হয়ে যেতে পারে।

যাদের জন্য ঝুঁকি : যাদের গায়ের রঙ কালো বা শ্যামলা। ফর্সা যাদের হতেই হবে বলে বিশ্বাস করেন। যাদের মেছতা বা মুখে কোনো দাগ আছে। ব্রণ আছে যাদের।

যে কারণে ক্ষতিকর : ফর্সা হওয়ার ক্রিমে মার্কারি, লেড, স্টেরয়েড, নানা প্রিজার্ভেটিভসহ অজস্র রাসায়ানিক পদার্থ থাকে; যা আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

রঙ ফর্সাকারী ক্রিমের ক্ষতিকর দিক : ত্বকে ফুসকুড়ি হওয়া; রঙ বদলে যায়। কালশিটে দাগ পড়ে। ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাল সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায়। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, বিষণœতা, মানসিক অস্থিরতা থেকে বৈকল্য বাড়ে। স্নায়ুজনিত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এ ধরনের স্টেরয়েড মেশানো ক্রিম অকারণে মুখে মাখতে মাখতে পাতলা হয়ে যেতে পারে ত্বক। এছাড়া ত্বক অতিরিক্ত সূর্যসংবেদী হতে পারে। ব্রণ ও অবাঞ্ছিত লোম বেড়ে যেতে পারে। মুখে মেছতা পড়তে পারে। পাশাপাশি মুখে, গলায়, হাতে বিভিন্ন রকমের অ্যালার্জি, র‌্যাশ হতে পারে। ত্বক শুকিয়ে গিয়ে নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। যারা নিয়মিত ফর্সা হওয়ার ক্রিম মাখেন, তাদের চোখ জ্বালাপোড়া থেকে শুরু করে নানা রকম অসুবিধা হতে পারে। মার্কারি থেকে ত্বকের ক্ষতির পাশাপাশি সফ্ট টিস্যুরও সমস্যা হয়। এমনকি ত্বকের ক্যানসারের শঙ্কাও হয়। আবার অনেক রঙ ফর্সাকারী ক্রিমের কারণে পরবর্তীকালে যে সমস্যাগুলো দেখা যায় তা হলো- রোদে বের হতে পারছেন না বা অন্য কিছু ব্যবহার করতে পারছেন না। পরে পুরো ত্বকের ব্যাপারটি আয়ত্তের বাইরে চলে যায়।

চিকিৎসা : এ ধরনের পরিস্থিতি প্রতিরোধ করতে শুরু থেকেই একজন ত্বক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো। তিনি রেগুলার স্কিন কেয়ার রুটিন তৈরি করে দিতে সাহায্য করতে পারেন, যা আপনার সুস্থ ত্বকের জন্য জরুরি।

লেখক : চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ

সিনিয়র কনসালট্যান্ট, বাংলাদেশ মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল (দ্বিতীয়তলা)

রামপুরা (ডিআইটি রোড), ঢাকা।

০১৮৮৩৬৯৯৮০৭; ০১৭১২০৬৯৩৬২

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com