আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ঘনীভূত হচ্ছে রাজনৈতিক সংকট। নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দুই দলের অনড় অবস্থানে আপাতত সংলাপের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। দাবি আদায়ে রাজপথকেই বেছে নিয়েছে বিএনপি। বুধবার ঘোষণা করবে সরকার পতনের একদফা। নয়াপল্টনে বিশাল শোডাউনের মাধ্যমে আন্দোলনের চূড়ান্ত ধাপে নামতে চায় দলটি। অন্যদিকে বিএনপির একদফার আন্দোলনকে পাত্তাই দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন ও তাদের মিত্ররা। একদফার ঘোষণাকে গতানুগতিক আখ্যা দিয়ে তা মোকাবিলায় পালটা কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকবে তারাও।
একদফার ঘোষণাকে ‘গতানুগতিক’ বলছে আ.লীগ
বিএনপির একদফার আন্দোলন নিয়ে চিন্তিত নয় ক্ষমতাসীনরা
বিএনপির একদফার আন্দোলন নিয়ে চিন্তিত নয় ক্ষমতাসীনরা। বিরোধী পক্ষের আন্দোলনের এই ঘোষণাকে ‘গতানুগতিক’ আখ্যায়িত করে তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও আদর্শিক মিত্র ১৪ দলের শরিক রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। রোববার নেতারা যুগান্তরকে বলেছেন, এটা (একদফা আন্দোলনের ঘোষণা) আমাদের কাছে উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা নয়। এটি একটি গতানুগতিক ঘোষণা। তারা তো আগে থেকেই আন্দোলন করে আসছে। বিএনপির এই এক দফার আন্দোলনের পালটা কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তারা।
শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় একদফার আন্দোলন ঘোষণার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। দলটির নেতারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে প্রাথমিকভাবে একমত হয়েছেন, ১২ জুলাই একদফার আন্দোলনের চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়া হবে। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্থায়ী কমিটির ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটানোর অভিন্ন দাবিতে বিএনপির মিত্ররাও আলাদা মঞ্চ থেকে একদফার এই আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে।বিস্তারিত