বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সমর্থন করবে সেনা। এই কথা এ বার সরাসরি জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সেখানে ‘যা-ই ঘটুক না কেন’ অন্তর্বর্তী সরকারকে তাঁরা পূর্ণ সমর্থন দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কী কারণে এই সমর্থন করা হবে তাও রয়টার্সকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান।
সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে সম্পূর্ণ সমর্থন করবে সেখানের সেনা। তিনি বলেন, ‘দেশের সংস্কার কাজে সাহায্য করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সম্পূর্ণ সমর্থন করা হবে।’ রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান জানান, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তাঁর পূর্ণ সমর্থন এবং আস্থা রয়েছে।
পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দেয়ার কথা বলেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার পতনের পর ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেয়া প্রধান সংস্কার কাজগুলো সম্পন্ন করতে ‘যাই হোক না কেন’ অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান, যাতে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত আগস্ট মাসের শুরুর দিকে জেনারেল ওয়াকার ও তার সেনারা হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন প্রবল বিক্ষোভে তাদের পাশে দাঁড়ায়। ফলে শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তার ক্ষমতাচ্যুতি হয়। এরপর তিনি প্রতিবেশী ভারতে পালিয়ে যান।
গতকাল সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দেন জেনারেল ওয়াকার। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমি তার (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) পাশে থাকবো, যা-ই হোক না কেন। যাতে তিনি তার মিশন সম্পন্ন করতে পারেন।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, সংস্কারের পর গণতন্ত্রে উত্তরণ এক বছর থেকে দেড় বছরের মধ্যে করা উচিত। এই সময়সীমার মধ্যেই আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করা উচিত।
জেনারেল ওয়াকার আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এবং তিনি (সেনাপ্রধান) প্রতি সপ্তাহে বৈঠকে করছেন। আমাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক-ও রয়েছে। দেশকে স্থিতিশীল করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সমর্থন করে বলেও জানিয়েছেন তিনি।