1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
কুড়িলে সড়ক অবরোধ, বন্ধ যান চলাচল মালয়েশিয়ায় বিশেষ অভিযান, ৩৭৭ বাংলাদেশি আটক। সাগরে লঘুচাপ, সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কসংকেত ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে কোনো বাধা নেই: আপিল বিভাগ কেএনএফের প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে সেনা অভিযান, অস্ত্র উদ্ধার বাংলাদেশে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ক কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ফুলকোর্টে শুনানি চলছে ধর্ষণের হুমকিদাতা ঢাবির সেই শিক্ষার্থী বহিষ্কার হাসিনা-কামালের নির্দেশে গণহত্যা পেছাচ্ছে নতুন পে-স্কেল ঘোষণা ♦ পে-কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করবে অন্তর্বর্তী সরকার বাস্তবায়ন করবে নির্বাচিতরা- এমন পরিকল্পনা অর্থ বিভাগের ♦ বর্তমানে রয়েছে ২০টি গ্রেড, নতুন কাঠামোতে কমবেশি হতে পারে ♦ অতীতের মতো বেতন বৈষম্য যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখছে কমিশন

নির্বাচন ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে, প্রস্তুতি এখন থেকেই

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫
  • ২৪ বার দেখা হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছর ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বুধবার (৯ জুলাই) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি এই নির্দেশনা দেন।

প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকের পরে রাতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রেস সচিব । তিনি জানান, নির্বাচনের প্রস্তুতির সার্বিক বিষয়ে বৈঠকে পর্যালোচনা হয় এবং অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রথম নির্দেশনা ছিল যে, আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক যত প্রস্তুতি নির্বাচনকে ঘিরে, সব প্রস্তুতি এই ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে বলেছেন। উনি আরো বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে হবে। এর অর্থ হলো নির্বাচনের জন্য যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দরকার তার প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করতে হবে।’

প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে প্রেস সচিব বলেন, ‘অনেকগুলো বিষয় আছে যেমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ১৭ হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড নিয়োগ, ট্রেনিং প্রক্রিয়া যাতে ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হয়, সে বিষয়ে উনি নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার অনেক পাঁয়তারা হয়। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী মাসগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করে সে নির্দেশ দিয়েছেন।’

তিনি জানান, আট লাখের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাঁদের সবাইকে ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রশিক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রেস সচিব বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে মোতায়েন করা হবে এটা একটা ইস্যু। সীমান্ত এলাকায় কীভাবে মোতায়েন হবে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে হবে। কতজন আনসার থাকবেন, কতজন পুলিশ সদস্য থাকবেন, বিজিবি বা সেনাবাহিনী কীভাবে থাকবেন। সেগুলো নিয়ে মিটিংয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বলা হয়েছে যে, ৪৭ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র থাকবে এবং তারা অ্যাসেসমেন্ট করে দেখেছেন যে ১৬ হাজারের মত ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটটা সম্পন্ন করা যায়, সে জন্য উনি নির্দেশ দিয়েছেন এবং সেটা নিয়ে আজকে অনেক বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’

নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টারনির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের বডি ক্যামেরা রাখা এবং প্রত্যেকটা কেন্দ্র যাতে সিসি টিভির আওতায় আসে, সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিসি টিভিগুলো যাতে মনিটরিংটাও ঠিকমতো হয়, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে বলেছেন। নির্বাচনের সময় যে নির্বাহী হাকিম দায়িত্ব পালন করবেন, অনেক সময় এই ভোট বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণের অভাব থাকে। তাঁদের কীভাবে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোটের জন্য প্রস্তুত করা যায় সে বিষয়ে নির্দেশনা এসেছে।’

আগে নির্বাচনের সময় চার দিন পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনী অতিরিক্ত মোতায়েন করা হতো জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এবার বলা হচ্ছে যে, এটাকে কীভাবে সাত দিনের জন্য মোতায়েন করা যায়। যাতে করে ভোটের আগে সব ধরনের সহিংসতা প্রতিহত করা যায় এবং ভোটের পরেও যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে নষ্ট না হয়। এ ছাড়াও নির্বাচনের আগে ডিসি, এসপি, ওসিদের পুনর্বিন্যাসের কথা বলা হয়েছে।’

সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি, কোস্টগার্ডের ডিজি, বিজিবির ডিজি ও আনসারের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com