পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করে বর্তমানে দুর্বল হওয়ার পথে রয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে প্রবেশ করে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয় এবং ক্রমান্বয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে গভীরে দুর্বল হতে শুরু করে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রকাশিত ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন স্থলভাগে অবস্থান করছে এবং এটি ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ সম্পর্কিত এটি ছিল শেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তি; এরপর আর কোনো নতুন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে না বলে জানায় অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হলেও এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরের কিছু এলাকায় এখনো বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। তাই সতর্কতা হিসেবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে আজ (বুধবার) বিকেল পর্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে গভীর সাগরে না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে আগের সব সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। এর অর্থ, এসব বন্দর এলাকায় ঘূর্ণিঝড়জনিত কোনো তাৎক্ষণিক বিপদের আশঙ্কা নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ‘মোন্থা’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এর প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও কিছু উপকূলীয় এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েক দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে গঠিত এটি ছিল অন্যতম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। স্থলভাগে প্রবেশের পর এটি ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়লেও, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে সাময়িক দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়ে গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের সব সমুদ্রবন্দর ও উপকূলীয় এলাকা স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যেতে পারবে, তবে জেলেদের নিরাপত্তার স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সতর্কতা বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।