1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:১৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
চ্যাটজিপিটিতে সুপারিশভিত্তিক বার্তা নিয়ে বিভ্রান্তি, সাময়িকভাবে ফিচার স্থগিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমা চাওয়ায় ফজলুর রহমান আদালত অবমাননা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের কাছে নেতানিয়াহুর ক্ষমা প্রার্থনা, বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক তীব্র মালদ্বীপ–বাংলাদেশ পুলিশ সহযোগিতা জোরদারে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক রাজবাড়ীতে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা, সরবরাহ ঘাটতিতে ভোক্তাদের চাপ জামায়াতের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সিইসির বৈঠক ধুরন্ধরের দ্রুত অগ্রযাত্রা: মুক্তির তিন দিনে শতকোটি রুপি আয় নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিবের আচরণে ক্ষোভ, দাবি বাস্তবায়নে জরুরি সিদ্ধান্ত অ্যাসোসিয়েশনের রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠে সেল্টার কাছে পরাজয়, চোট–কার্ডে জটিলতা বাড়ল পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা ও সাংবিধানিক বিধান নিয়ে আলোচনা জোরদার

মর্যাদাপূর্ণ ভ্যাকসিন হিরো পুুরস্কারে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ১১৫ বার দেখা হয়েছে

টিকা দান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মর্যাদাপূর্ণ ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক বিশ্বব্যাপী টিকা দান সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন এবং ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই) স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই পুরস্কার প্রদান করে।
জিএভিআই বোর্ড সভাপতি ড. এনগোজি অকোনজো ইবিলা’র নিকট থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেই প্রধানমন্ত্রী তা বাংলাদেশের জনগণের জন্য উৎসর্গ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আজ যে পুরস্কার গ্রহণ করলাম সে পুরস্কার আমার নয়। এটা বাংলাদেশের জনগণের এবং আমি তাঁদেরকেই এই পুরস্কার উৎসর্গ করলাম।’
প্রধানমন্ত্রী একইসঙ্গে দেশবাসীর প্রতি তাঁদের শিশুদের সুস্বাস্থ্যের জন্য টিকা দান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার আহবান জানান।
তিনি বলেন,‘আগামীর শিশুরা সুস্বাস্থের অধিকারী হয়ে দেশ পরিচালনা করবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সুস্বাস্থ্যের অধিকারী প্রজন্মের অত্যন্ত প্রয়োজন।’
‘সুস্বাস্থ্যের অধিকারী নতুন প্রজন্মই কেবল পারে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে,’যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশ থেকে পোলিও, কলেরা সহ বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধি দূর করা হয়েছে এবংএই বিষয়ে ‘জিএভিআই’র সহযোগিতা আমরা পাচ্ছি।’ এ প্রসঙ্গে তিনি রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ অনুযায়ী সকলের জন্য মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা ও পরিপূর্ণ পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জিএভিআই বোর্ড সভাপতি ড. এনগোজি অকোনজো ইবিলা শেখ হাসিনার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার আগে একটি সাইটেশন পাঠ করেন। ‘জিএভিআই’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেথ বার্কলে ও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড.একে আব্দুল মোমেন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সহ প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য সফরসঙ্গীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সাইটেশনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি শিশুর সুরক্ষায় জিএভিআইকে সহযোগিতা এবং এর অংশীদার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের মাধ্যমে যারা ভ্যাকসিন এলায়েন্স মিশনে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন সেই বৈশ্বিক ব্যক্তিত্বদের মর্যাদার স্বীকৃতি প্রদানে জিএভিআই ‘ভ্যাকসিন হিরো’ এওয়ার্ড প্রবর্তন করেছে।
এতে বলা হয়, এই এওয়ার্ড তাদের জন্য যাদের সুস্পষ্ট লক্ষ্য রয়েছে এবং যারা জরুরিভিত্তিতে শিশুর জীবন রক্ষাকারী ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন এবং কোন শিশু ভ্যাকসিনেশন থেকে বাদ না পড়ে সেটি নিশ্চিত করেছেন।
এতে বলা হয়, শিশু অধিকার রক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি টিকাদান কার্যক্রমে শেখ হাসিনা সত্যিকার একজন সফল ব্যক্তিত্ব।
এরআগে লিখিত বক্তব্যে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, ২০৩০ সালের আগেই রোগ ব্যধিমুক্ত দেশ গঠনের লক্ষ্যে ‘সবার জন্য টিকাদান’ নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুবিধার আওতায় টিকাদান সম্পন্ন করার ব্যাপারে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন যে, শিশুদের টিকাদান পরিস্থিতির উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ ২০০৯ ও ২০১২ সালেও জিএভিআই এলায়েন্সের এওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছে।
বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে টিকাদান কার্যক্রম একটি বৃহত্তম সফল ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন এলায়েন্স এবং অন্যান্য অংশীদার যারা তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন তাদের ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী সকল পর্যায় অন্যান্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে টিকাদান সমন্বিত করার লক্ষ্যে সরকারের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে রাখাইন রাজ্য থেকে ১১ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে প্রবেশ করায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের জন্য এটি ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বিশেষ টিকাদান কার্যক্রম এবং নিয়মিত টিকাদানের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ইমিউনিটি বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ সব রোহিঙ্গা মিয়ানমারে কোন স্বাস্থ্য সেবা পায়নি।
এছাড়াও শেখ হাসিনা বলেন, সরকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সফলভাবে কলেরার টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে, ডিপথেরিয়া ও হাম ছড়িয়ে পড়া মোকাবেলা করেছে।
পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রথম ২০১৭ সালে টিকাদান ক্যাম্পেইনে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য জিএভিআই’র সমর্থিত জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী সকল জনগণের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করার অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com