1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা চুক্তি বাতিলের দাবিতে তিন পয়েন্টে অবরোধ কর্মসূচি

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১২ বার দেখা হয়েছে

 

রাজনীতি ডেস্ক

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দেওয়ার উদ্যোগের প্রতিবাদে এবং লালদিয়ার চর ও পানগাঁও টার্মিনালের ইজারা চুক্তি বাতিলের দাবিতে বন্দর এলাকার প্রধান প্রবেশপথগুলোতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। বুধবার সকাল ১০টা থেকে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) এই কর্মসূচি শুরু করে, যা সংগঠনের নেতাদের ঘোষণামতে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে।

স্কপের নেতারা জানান, বন্দর ইজারা ও কৌশলগত স্থাপনা হস্তান্তর সংক্রান্ত সাম্প্রতিক বক্তব্য ও সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তাদের অভিযোগ, সাম্প্রতিক বৈঠকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একজন কর্মকর্তা সাত দিনের মধ্যে এনসিটি ইজারা চুক্তির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন, যা তারা অনৈতিক ও অন্তর্বর্তী সরকারের এখতিয়ারবহির্ভূত হিসেবে দেখছেন। তারা বলেন, দেশের কৌশলগত স্থাপনা সম্পর্কিত চুক্তি একটি নির্বাচিত সরকারের আওতাধীন কাজ, অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

অবরোধ কর্মসূচি নগরীর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিচালিত হচ্ছে—মাইলের মাথা এলাকার সী মেন্স হোস্টেলের সামনে, টোল রোডের টোলপ্লাজা গেট এলাকা এবং বড়পুল মোড়ে। সকাল থেকে শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসব স্থানে জড়ো হয়ে বন্দর ইজারার সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে তারা বন্দর-সংক্রান্ত নীতি ও সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা এবং জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।

বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতির প্রধান লাইফ লাইন। নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও লাভজনক স্থাপনা, যা দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাদের দাবি, এ ধরনের লাভজনক স্থাপনাকে ইজারা দেওয়া কোনোভাবেই দেশের দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্যিক স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বন্দর ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন বা সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হলে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে উন্নয়নের পথ বেছে নেওয়া উচিত।

শ্রমিক নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, স্কপ দীর্ঘদিন ধরে ধাপে ধাপে কর্মসূচি পালন করে আসছে। তারা বলেন, বন্দর সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণে শ্রমিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে সম্পৃক্ত করা উচিত। তাদের অভিযোগ, সাম্প্রতিক আলোচনা বা চুক্তি প্রক্রিয়ায় শ্রমিকরা সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত। তারা আরও জানান, প্রয়োজনে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে, তবে বন্দর কার্যক্রম যাতে পুরোপুরি অচল না হয়, সে বিষয়ে তারা সতর্ক রয়েছেন।

বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস কে খোদা তোতন কর্মসূচির এক পর্যায়ে বলেন, দেশের কৌশলগত স্থাপনা নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত সতর্কতার সঙ্গে নেওয়া জরুরি। তিনি বলেন, শ্রমিকরা চাইলে বন্দর কর্মসূচির মাধ্যমে কার্যক্রম স্থবির করে দিতে পারে, তবে তারা তা করতে চান না। তিনি দাবি করেন, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে জনগণ ও দেশের স্বার্থ বিবেচনা করে এ ধরনের ইজারা পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে। তা না হলে আন্দোলন আরও বিস্তৃত করার বিকল্প থাকবে না।

শ্রমিক নেতা খোরশেদ আলম বলেন, বন্দর-সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও ভবিষ্যৎ বাণিজ্য নীতির ওপর প্রভাব ফেলে। তাই লাভজনক স্থাপনাকে ইজারা দেওয়ার উদ্যোগ তারা সমর্থন করেন না। তার মতে, এনসিটি ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে এবং এই ধরনের স্থাপনা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনাতেই রাখা উচিত।

ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল জানান, স্কপের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনটি স্থানে একযোগে অবরোধ পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, শ্রমিক সংগঠনগুলো চাইছে সরকার আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সমাধানের উদ্যোগ নিক এবং ইজারা সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য পরিষ্কার করুক।

অবরোধ কর্মসূচির কারণে তিনটি স্থানে গাড়ির গতিবিধিতে কিছুটা ধীরগতি দেখা গেলেও সামগ্রিকভাবে বন্দর এলাকায় শৃঙ্খলা বজায় আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। তবে দীর্ঘমেয়াদে এ ধরনের কর্মসূচি বন্দর কার্যক্রম ও পণ্য পরিবহনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শ্রমিক নেতারা জানান, সরকারের পক্ষ থেকে যদি আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তারা তা ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবেন। তবে তাদের প্রধান দাবি—কৌশলগত স্থাপনা সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে নীতি নির্ধারণ—অবিচল থাকবে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com