1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৪৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমা চাওয়ায় ফজলুর রহমান আদালত অবমাননা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের কাছে নেতানিয়াহুর ক্ষমা প্রার্থনা, বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক তীব্র মালদ্বীপ–বাংলাদেশ পুলিশ সহযোগিতা জোরদারে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক রাজবাড়ীতে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা, সরবরাহ ঘাটতিতে ভোক্তাদের চাপ জামায়াতের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সিইসির বৈঠক ধুরন্ধরের দ্রুত অগ্রযাত্রা: মুক্তির তিন দিনে শতকোটি রুপি আয় নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিবের আচরণে ক্ষোভ, দাবি বাস্তবায়নে জরুরি সিদ্ধান্ত অ্যাসোসিয়েশনের রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠে সেল্টার কাছে পরাজয়, চোট–কার্ডে জটিলতা বাড়ল পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা ও সাংবিধানিক বিধান নিয়ে আলোচনা জোরদার প্রাক্তন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ আসামির হাজিরায় ট্রাইব্যুনাল এলাকায় কড়া নিরাপত্তা

নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিবের আচরণে ক্ষোভ, দাবি বাস্তবায়নে জরুরি সিদ্ধান্ত অ্যাসোসিয়েশনের

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১ বার দেখা হয়েছে

 

জাতীয় ডেস্ক

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিবের আচরণকে ‘অপ্রত্যাশিত’ উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উপজেলা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির দাবি, গত ২ ডিসেম্বর ন্যায্য দাবি সংক্রান্ত কার্যবিবরণী প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে হস্তান্তর করতে গেলে জ্যেষ্ঠ সচিব উপস্থিত কর্মকর্তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করেন। এতে কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয় এবং অফিসিয়াল কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিতে পারে বলে অ্যাসোসিয়েশন সতর্ক করেছে।

অ্যাসোসিয়েশন জানায়, ৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে সংগঠনের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাধারণ সদস্যরা ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ভবিষ্যতে এমন আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পাশাপাশি পেশাগত উন্নয়ন, প্রশাসনিক কাঠামো আধুনিকায়ন এবং সার্ভিস সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসব সিদ্ধান্তে মূলত উপজেলা ও সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব, সুবিধা, জনবল, লজিস্টিকসহ সার্বিক কর্মপরিবেশ উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

সভায় আলোচনায় উঠে আসে, নির্বাচন ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধাপের সঙ্গে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা সরাসরি যুক্ত থাকায় তাদের পেশাগত অবস্থান শক্তিশালী করা প্রয়োজন। এজন্য স্বচ্ছ সার্ভিস নীতিমালা, পদোন্নতি কাঠামো এবং দায়িত্ব বণ্টন প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি করা হয়। অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মো. ইউসুফ-উর-রহমান ও আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমান সভার কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষর করেন।

গৃহীত নয়টি সিদ্ধান্তের মধ্যে প্রথমেই গুরুত্ব পায় নির্বাচন কমিশন সার্ভিস বাস্তবায়ন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দ্রুততম সময়ে সার্ভিস সংক্রান্ত বিধিমালা চূড়ান্ত করা এবং তা গেজেটে প্রকাশের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পেশাগত স্বীকৃতি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। এতে কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণে সহায়ক হবে বলে মনে করা হয়।

দ্বিতীয় সিদ্ধান্তে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের এসব দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। পাশাপাশি সমন্বয় জোরদারে প্রতি আসনে দুজন সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের এ দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পায়।

পদোন্নতি ও পদ আপগ্রেডেশন নিয়ে তৃতীয় সিদ্ধান্তে বলা হয়, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পদকে ৬ষ্ঠ গ্রেডে এবং সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পদকে ৯ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি জানানো হয়েছে। এর সঙ্গে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের দ্রুত পদোন্নতি কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করা হয়। এর ফলে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পেশাগত অনুপ্রেরণা ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হবে বলে অ্যাসোসিয়েশন মনে করে।

অফিসকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার চতুর্থ সিদ্ধান্তে উপজেলা নির্বাচন অফিসে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, স্ক্যানিং অপারেটর, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মীর পদ সৃষ্টি এবং দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ জনবলকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি করা হয়। এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে সেবা কার্যক্রম দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিচালনায় সুবিধা হবে বলে কর্মকর্তারা মনে করেন।

অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ ও আঞ্চলিক কমিটি ঘোষণা এবং সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে ঐক্য পরিষদ গঠনের বিষয়টি পঞ্চম সিদ্ধান্তে উঠে আসে। এতে সংগঠনগুলোর পারস্পরিক সমন্বয় বৃদ্ধি পাবে এবং কর্মকর্তাদের যৌথ দাবি আরও সুসংগঠিতভাবে উপস্থাপন সম্ভব হবে।

ষষ্ঠ সিদ্ধান্তে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য ডাবল কেবিন পিকআপ এবং সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য নতুন মোটরসাইকেল বরাদ্দের দাবি জানানো হয়। বিকল্পভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের অব্যবহৃত গাড়ি নির্বাচনের কাজে ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। লজিস্টিক সুবিধা পাওয়া গেলে নির্বাচনী দায়িত্ব দ্রুত ও নির্বিঘ্নে সম্পাদন সম্ভব হবে বলে কর্মকর্তারা মনে করেন।

সপ্তম সিদ্ধান্তে ভোটার তালিকা মুদ্রণের দায়িত্ব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে ন্যস্ত করার আহ্বান জানানো হয়। এ দায়িত্ব পূর্ববর্তী নির্বাচনে তাদের ওপর অর্পিত থাকায় এটি বাস্তব অভিজ্ঞতা বিবেচনায় দ্রুত সম্পাদনযোগ্য হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

অষ্টম সিদ্ধান্তে সিইসি–কে ধন্যবাদ জানানো হয়। কর্মকর্তাদের সার্ভিস কমিশন বাস্তবায়ন, আপগ্রেডেশন ও পদোন্নতি বিষয়ে তিনি যে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন, সেটিকে প্রশংসা করা হয়।

শেষ সিদ্ধান্তে ২ ডিসেম্বরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জ্যেষ্ঠ সচিবের আচরণে অসন্তোষের বিষয়টি পুনরায় উল্লেখ করে বলা হয়, এ ধরনের আচরণ ভবিষ্যতে কাজের পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে এবং এজন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।

অ্যাসোসিয়েশন আশা প্রকাশ করেছে যে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়িত হলে নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় মাঠপর্যায়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনসহ ভবিষ্যতের সব নির্বাচনী কার্যক্রম আরও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com