1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
চ্যাটজিপিটিতে সুপারিশভিত্তিক বার্তা নিয়ে বিভ্রান্তি, সাময়িকভাবে ফিচার স্থগিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমা চাওয়ায় ফজলুর রহমান আদালত অবমাননা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের কাছে নেতানিয়াহুর ক্ষমা প্রার্থনা, বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক তীব্র মালদ্বীপ–বাংলাদেশ পুলিশ সহযোগিতা জোরদারে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক রাজবাড়ীতে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা, সরবরাহ ঘাটতিতে ভোক্তাদের চাপ জামায়াতের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সিইসির বৈঠক ধুরন্ধরের দ্রুত অগ্রযাত্রা: মুক্তির তিন দিনে শতকোটি রুপি আয় নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিবের আচরণে ক্ষোভ, দাবি বাস্তবায়নে জরুরি সিদ্ধান্ত অ্যাসোসিয়েশনের রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠে সেল্টার কাছে পরাজয়, চোট–কার্ডে জটিলতা বাড়ল পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা ও সাংবিধানিক বিধান নিয়ে আলোচনা জোরদার

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমা চাওয়ায় ফজলুর রহমান আদালত অবমাননা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ০ বার দেখা হয়েছে

আইন আদালত ডেস্ক

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে নিয়ে টেলিভিশন আলোচনায় বিরূপ মন্তব্য করার ঘটনায় আদালত অবমাননার অভিযোগে তলব হওয়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুর রহমান নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার পর অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। সোমবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদেশ প্রদান করে।

আদালত অবমাননার অভিযোগের সামগ্রিক প্রেক্ষাপট ও শুনানির ধারাবাহিকতা বিবেচনায় ট্রাইব্যুনাল জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের মন্তব্যের জন্য অনুতাপ প্রকাশ করেছেন এবং আদালতের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন করেছেন। এ কারণেই সতর্কবার্তার মাধ্যমে অভিযোগ কার্যক্রম থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ফজলুর রহমানের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের দুই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, আর প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের একজন প্রসিকিউটর।

শুনানির সূচনায় ফজলুর রহমান দাঁড়িয়ে উপস্থিত থেকে ট্রাইব্যুনালের কাছে নিজ বক্তব্যের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। পরে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে বসার অনুমতি নেন এবং টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের অনুকম্পা প্রত্যাশা করেন। তিনি সরাসরি ও নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চান। তার এ অবস্থান বিবেচনায় আদালত মামলার কার্যক্রম স্থগিত না রেখে সম্পূর্ণ অব্যাহতির সিদ্ধান্ত দেয়।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে একদল আইনজীবীসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হন ফজলুর রহমান। এর আগে, ৩০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাখ্যা শুনতে তাকে সশরীরে উপস্থিত হতে নির্দেশ দিয়েছিল। নির্দেশনার পর তিনি হাজিরা দেন এবং লিখিতভাবেও ক্ষমা চান, যার বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে অবহিত করে।

ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন যে তিনটি বিষয়ে অভিযোগ তোলে, সেগুলো হলো—ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন, আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়ে মন্তব্য করা এবং প্রসিকিউশনকে লক্ষ্য করে অবমাননাকর ভাষ্য প্রদান। এসব অভিযোগের প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হয় ২৬ নভেম্বর, এবং অবশিষ্ট শুনানির পর ব্যাখ্যা শুনতে তাকে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রসিকিউশনের অভিযোগ অনুযায়ী, টেলিভিশন আলোচনায় অংশ নিয়ে ফজলুর রহমান ট্রাইব্যুনালের আইনগত কাঠামো, বিচার প্রক্রিয়া ও প্রসিকিউশনের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করেন। এসব বক্তব্যের ভিডিও রেকর্ড ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়। শুনানির সময় ভিডিওর কিছু অংশ বাজিয়ে শোনানো হলে ট্রাইব্যুনাল মন্তব্যগুলোকে গুরুতর বলে উল্লেখ করে।

প্রসিকিউশন শুনানিতে জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে বক্তব্য দিয়েছেন এবং আইন সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। প্রসিকিউশন আরও জানায়, তিনি অতীতে রাজনৈতিক দলীয় কার্যক্রমেও শাস্তিমূলক পদক্ষেপের মুখোমুখি হয়েছিলেন। এ অবস্থায় আদালত তার অন্য কোনো পরিচয় আছে কি না জানতে চাইলে জানানো হয় যে তিনি একটি রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং জাতীয় নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী।

শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল আইনগত ব্যাখ্যা তুলে ধরে জানায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ সালে প্রণীত হয় এবং এই আইনের আওতায় ১৯৭৩ সালের আগে কিংবা পরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার আদালতের রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল আরও স্পষ্ট করে, প্রসিকিউশন ট্রাইব্যুনালের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে আইনগত কাঠামোর মধ্যেই কাজ করে।

ফজলুর রহমানের মন্তব্যের আইনি ও প্রশাসনিক প্রভাব বিবেচনায় ট্রাইব্যুনাল বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করে। ভিডিও ফুটেজ, নথিপত্র ও ব্যাখ্যা পর্যালোচনার পর আদালত মনে করে, অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের অবস্থান স্পষ্টভাবে প্রত্যাহার করেছেন এবং ভবিষ্যতে এমন আচরণ না করার অঙ্গীকার করেছেন। এ কারণে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাকে অব্যাহতি প্রদান যথোপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়।

আইনজীবীদের উপস্থিতি, অভিযুক্ত ব্যক্তির আত্মপক্ষ সমর্থন এবং আদালতের পর্যবেক্ষণ মিলিয়ে এদিনের শুনানি সমাপ্ত হয়। আদালত উল্লেখ করে, বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা বজায় রাখা এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা আইনজীবীসহ সকল নাগরিকের দায়িত্ব। ফজলুর রহমানের ক্ষমাপ্রার্থনা গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল আশা প্রকাশ করে যে তিনি ভবিষ্যতে আরো সতর্ক থাকবেন এবং বিচারপ্রক্রিয়ার মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে সচেষ্ট হবেন।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com