1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘাত বৃদ্ধি, মধ্যস্থতায় উদ্যোগী যুক্তরাষ্ট্র সচিবালয়ে ভাতা দাবিতে অর্থ উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করে নন-ক্যাডার কর্মচারীরা মেগা প্রকল্প বন্ধ করে মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগের অঙ্গীকার তারেক রহমানের ইমরান খানের সাক্ষাৎ নিষেধাজ্ঞা ঘিরে আদিয়ালা কারাগারে উত্তেজনা, পুলিশের অভিযান অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার সুরক্ষায় স্থায়ী কাঠামো গঠনের ওপর জোর এসআই আফতাব উদ্দিন রিগানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপের দ্বাদশ বৈঠক শুরু নির্বাচন তফসিল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করছে নির্বাচন কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইঙ্গিত আওয়ামী লীগবিষয়ক জনপ্রিয়তা জরিপের নৈতিকতা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের প্রশ্ন

নির্বাচন তফসিল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করছে নির্বাচন কমিশন

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ০ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় ডেস্ক

আগামী বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেদিন সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে তফসিল প্রকাশ করবেন। বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এ ভাষণ রেকর্ড সম্পন্ন হয় এবং পরে ইসির শীর্ষ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করেন।

ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, ভাষণ রেকর্ডের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং নির্ধারিত সময়ে তা প্রচার করা হবে। এর মধ্য দিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হবে। তিনি বলেন, রেকর্ডিং শেষে কমিশন সভায় ভাষণের বিষয়বস্তু, তফসিল ঘোষণার সময়সূচি এবং পরবর্তী প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়।

বাংলাদেশের সাংবিধানিক কাঠামো অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, প্রত্যাহার এবং প্রতীক বরাদ্দসহ বিভিন্ন ধাপ সম্পন্ন করতে হয়। তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে এসব কার্যক্রমের সময়সূচি চূড়ান্ত করা হবে। পাশাপাশি গণভোট অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশন গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে একাধিক সমন্বয় সভা করেছে। এসব সভায় ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তা, লজিস্টিক সহায়তা, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, মাঠপর্যায়ের কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পরিবহনের বিষয়ে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনী প্রস্তুতিতে প্রশাসনিক কাঠামো এখন কার্যত তফসিল ঘোষণার অপেক্ষায়।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যেই প্রার্থী চূড়ান্তকরণ, জোটবদ্ধতা, নির্বাচনী কৌশল প্রণয়ন এবং গণসংযোগ কার্যক্রম জোরদার করছে। তফসিল ঘোষণার পর এসব কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে আরও ত্বরান্বিত হবে। প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নেবেন এবং রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনকালীন আচরণবিধি অনুসরণের জন্য তাদের কর্মীদের নির্দেশনা দেবে।

তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশজুড়ে প্রশাসনিক তৎপরতা আরও বৃদ্ধি পাবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি ভোটার তালিকা হালনাগাদের পর চূড়ান্ত তালিকা ব্যবহারের প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। নির্বাচনী উপকরণ মুদ্রণ, বিতরণ এবং সংরক্ষণের কাজ ধাপে ধাপে শুরু হবে। নিরাপত্তা পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করা হবে, যেখানে ভোটগ্রহণের দিনসহ আগের ও পরের সময়সীমায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত বাহিনীর মোতায়েন নিশ্চিত করা হবে।

ইসি সূত্র জানায়, এ বছরের নির্বাচনে প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়ানো হবে। ফলাফল সংগ্রহ ও প্রকাশে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থার ব্যবহারে জোর দেওয়া হচ্ছে, যাতে ভোট গণনার প্রক্রিয়া দ্রুত ও স্বচ্ছ হয়। নির্বাচনী এলাকায় পর্যবেক্ষকদের কার্যক্রমও সমন্বিতভাবে পরিচালিত হবে।

গণভোট আয়োজনের ক্ষেত্রে কমিশন একই সঙ্গে প্রক্রিয়াগত দিকগুলো নিশ্চিত করবে। গণভোটে অংশগ্রহণের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, প্রশ্নপত্রের বিন্যাস কেমন হবে এবং ভোট গণনার নিয়ম কী হবে—এসব বিষয়ে তফসিল ঘোষণার পর বিস্তারিত নির্দেশনা জারি করা হবে।

নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো ভোটগ্রহণকে শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক এবং নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করা। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে কমিশন অতীতের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় রেখে নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। নির্বাচনকালীন প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশনা দেওয়া হবে এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কমিশন কঠোর অবস্থান নেবে বলে কর্মকর্তারা জানান।

তফসিল ঘোষণার পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি, প্রশাসনিক প্রস্তুতি এবং নির্বাচনী আচরণবিধির বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করা হবে। সবমিলিয়ে বৃহস্পতিবারের ঘোষণার মাধ্যমে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় এক নতুন ধাপ সূচনা করবে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com