আইন আদালত ডেস্ক
ওয়াসিকুর রহমান বাবু (৪৩), গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের এনায়েতুর রহমানের ছেলে, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রিমান্ডে হস্তান্তরের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। কারাগার সূত্র জানায়, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কারাগারের ভর্তি শাখার অফিস কক্ষে চেয়ারে বসার সময় ঢলে পড়েন। পরে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সুপার আল মামুন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ওয়াসিকুর রহমান বাবু রাজনৈতিকভাবে বাড্ডা থানা শাখার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। তিনি বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় তার গ্রেপ্তার।
কাশিমপুর কারাগার সূত্র জানায়, বাবুকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পান্থপথ এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন, ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতের নির্দেশে তিন দিনের রিমান্ডে হস্তান্তরের জন্য আদালত অনুমোদন দেন। ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ তে স্থানান্তরিত হন।
রিমান্ডে হস্তান্তরের জন্য রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশের একটি দল তাকে কারাগারে হেফাজতে নিতে আসে। কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী হস্তান্তর প্রক্রিয়ার সময় ভর্তি শাখার অফিস কক্ষে তাকে চেয়ারে বসানো হয়। হঠাৎ অসুস্থ হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, হৃদরোগের কারণে তার মৃত্যু ঘটে।
নিহতের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কারাগার কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সকল প্রটোকল অনুসরণের বিষয়টি জানিয়েছে। এছাড়া রিমান্ড প্রক্রিয়ায় এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কারাগারে স্বাস্থ্য সেবা ও জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থার মান বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
ওয়াসিকুর রহমান বাবুর মৃত্যু রাজনৈতিকভাবে এবং স্থানীয় নেতৃত্বের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তার বিরুদ্ধে চলমান মামলা ও হেফাজতের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আইনগত এবং প্রশাসনিক প্রক্রিয়া চলবে। কারাগারের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট অনুসারে, রিমান্ড প্রক্রিয়ায় উপস্থিত সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছিলেন এবং সমস্ত নিয়ম অনুযায়ী কাজ করেছিলেন।