রাজনীতি ডেস্ক
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, আগামী ২৭ ডিসেম্বর তারেক রহমান ভোটার হবেন। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে।
বৈঠকে সালাউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন বিএনপির প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা ও সচিবদের সঙ্গে বিভিন্ন নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করে। তিনি জানান, আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরবেন তারেক রহমান এবং পরে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোটার কার্ড কার্যক্রম শুরু করবেন।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার রহমানেল মাছউদ এবং নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব ডক্টর মোহাম্মদ জকরিয়া।
নির্বাচন কমিশন ও বিএনপির মধ্যে এই বৈঠক মূলত আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি, ভোটার তালিকাভুক্তি এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সমন্বয়করণের বিষয়গুলো নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে ভোটার কার্ড বিতরণ, তথ্য যাচাই, এবং নির্বাচন সংক্রান্ত অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রমের সময়সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে প্রতিটি ধাপে পর্যবেক্ষণ ও তদারকি থাকবে। এ ধরনের সমন্বয় বৈঠক নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হয়।
বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের নির্বাচনী কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনিক সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ভোটার কার্ড প্রাপ্তি, ভোটার তালিকা যাচাই এবং নির্বাচনী এলাকায় পর্যবেক্ষণ বিষয়ক কার্যক্রমে সহযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য কমিশনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই ধরণের বৈঠক রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে কার্যকর ও স্বচ্ছ রাখার পাশাপাশি ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কমিশনের সঙ্গে দলের সমন্বয় বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোটার কার্ড বিতরণ ও যাচাই প্রক্রিয়ায় ভুল কমানো এবং সময়মতো কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের পর বিএনপির পক্ষ থেকে ভোটার কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে এবং ২৭ ডিসেম্বর থেকে কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়িত হবে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনী কার্যক্রম চলাকালে সকল পর্যায়ে প্রশাসনিক সহায়তা ও পর্যবেক্ষণ অব্যাহত থাকবে, যাতে ভোট প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয়।
এই বৈঠকটি রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।